বেদারউদ্দিন আহমদ (১৫ মার্চ, ১৯২৭ - ১৩ জানুয়ারি, ১৯৯৮) ছিলেন একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী এবং সঙ্গীত বিষয়ক অধ্যাপক। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
বেদারউদ্দিন ১৯২৭ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ মহিরউদ্দিন এবং মাতা নেকজাহান বেগম। বেদারউদ্দিনের হারমোনিয়াম বাজানোর হাতেখড়ি হয় গৌরচন্দ্র ঘোষের কাছে। পরবর্তীতে তিনি সঙ্গীতে আগ্রহী হন এবং সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। ১৯৪০ সালে তিনি উত্তরবঙ্গ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ছোটদের মধ্যে প্রথম হন।[১]
কর্মজীবন
বেদারউদ্দিন ১৯৪২ সালে সং পাবলিসিটি বিভাগে চাকরিতে যোগদান করেন। কলাম্বিয়া ও এইচএমভি গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে তার গাওয়া গানের রেকর্ড বের হলে তিনি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর তিনি ঢাকা এসে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে শিল্পী হিসেবে যোগ দেন এবং নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ১৯৫৫ সালে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। বেদারউদ্দিন ছিলেন এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনি দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।[১]
মৃত্যু
বেদারউদ্দিন ১৯৯৮ সালের ১৩ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড মসজিদে যোহরের পর এবং বাইতুল মোকাররম মসজিদে আসরের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।[২]
সম্মাননা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ