বিশ্বজিৎ ১৯৫৮ সালের ৮ এপ্রিল বরিশালের কামারকাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২] ১৯৭৩ সালে নবকুমার ইনস্টিটিউশন থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে বিএম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ১৯৭৮ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭৯ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
কর্মজীবন ও প্রকাশনা
বিশ্বজিৎ ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।[৩] ২০১৭ সালের ১১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে চার বছরের জন্য রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযোগ প্রদান করে। ১৫ই জুন ২০১৭ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। গত ১৪ই জুন ২০২১ তারিখে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে. উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পদে পুনরায় যোগদান করেন।[৪] তিনি ৫০টির অধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। উলেখযোগ্য গবেষণা গন্থের মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশের সাহিত্য, আন্তর্জাতিক ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও রবীন্দ্রনাথ, বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসে নৈঃসঙ্গচেতনার রূপায়ণ, বাংলা সাহিত্যে নারী, বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি, নৈঃসঙ্গচেতনা, শতবর্ষের বাংলা ছোটগল্প, রবীন্দ্র-ছোটগল্পের নন্দনতত্ত্ব। এছাড়া তার সম্পাদনায় ২০২১ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক স্মারক গ্রন্থ ‘সূর্যকরোজ্জ্বল শেখ মুজিব’ প্রকাশিত হয়েছে। এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকার ৩টি সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন।[৫]
২০২২-এর মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আজিজুল হকের কাছে বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের একজন ছাত্রী৷[৬] অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি৷