এই অভয়ারণ্য ভ্রমণ করতে হলে আপনাকে বাসে বা ট্রেনে করে প্রথমে আসতে হবে বনগাঁ শহরে। এরপর বনগাঁ থেকে 96/C রুটের বাস ধরে নামবেন নাটাবেড়িয়া বাজারে। সেখান থেকে টোটো করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে।
জীববৈচিত্র্য
এখানে প্রচুর চিত্রা হরিণ দেখা যায়। অভয়ারণ্য তৈরির শুরুতে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে প্রথমে চারটি চিত্রা হরিণ আনা হয়। ১৯৬৫ সালে সেখানে ৩টি নবজাতকসহ মোট ১৫টি চিত্রা হরিণ ছিল। ১৯৬৬ সালে সেখানে আরো ২৬তি চিত্রা হরিণ অবমুক্ত করা হয়। ধীরে ধীরে হরিণেরা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। ১৯৮৬ সালে সেখানে ২০১টি চিত্রা হরিণ ছিল।[১] এর পরে ২০০০ সালের বন্যায় বিপুল সংখ্যক হরিণের মৃত্যু ঘটেছিল। এখানে অনেক দেশীয় প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
অন্যান্য আকর্ষণ
অভয়ারণ্য ছাড়াও এই অঞ্চলে আরো বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের পাশ দিয়ে বহমান নয়নাভিরাম ইছামতী নদী। ইছামতীর অন্য পারে অর্থাৎ অভয়ারণ্যের বিপরীতে রয়েছে উপজাতি-অধ্যুষিত ছোট্ট গ্রাম মঙ্গলগঞ্জ। নদীর ধারে অবস্থিত মঙ্গলগঞ্জ গ্রামে বিশেষত শীতকালে বিভিন্ন এলাকার ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ভিড় জমান । মঙ্গলগঞ্জের পার্ক একটি অসাধারণ পিকনিক স্পট। এছাড়াও এই মঙ্গলগঞ্জে নিলচাষীদের উপর ব্রিটিশদের অবর্ণনীয় অত্যাচারের চিহ্ন ধারণ করে টিকে রয়েছে ধ্বংসপ্রায় নীলকুঠি।