বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে একটি প্রগতিশীল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। এটি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী ধারার একটি ছাত্র গণসংগঠন। যারা বাংলাদেশে একমুখী-বিজ্ঞানভিত্তিক জনগণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
ইতিহাস
'বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী' একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন। ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জাতীয় ছাত্র আন্দোলন, পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় ছাত্রদলের দুটি কেন্দ্রের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় 'বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী'।[১]
সংগঠনের জন্মলগ্নেই ঘোষিত হয়েছিল যে, সংগঠনটি বাম প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে এই বিপ্লবী ঐক্যের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। ছাত্র সমাজকে তাদের গণতান্ত্রিক শিক্ষার দাবি ও অধিকার আদায়ের জন্য সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ে সামিল হতে হবে। এরশাদীয় সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই 'বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী' আপোষহীন ও লড়াকু সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পায়।
স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথেই যখন সকল রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠন নিজেদের করণীয় নির্ধারণে কালক্ষেপণ করছিলো তখন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রথম বিক্ষোভ মিছিল করে।[২]
স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগাতে গিয়ে প্রথম গ্রেপ্তার হন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর তিনজন কর্মী। যা ছিলো এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম গ্রেফতার।
স্লোগান
শ্রমজীবী জনতার সাথে একাত্ম হও!
কেন্দ্রীয় কার্যালয়
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাজধানী ঢাকার কাটাবনের সাহেরা ট্রপিক্যাল সেন্টারে।
কেন্দ্রীয় কমিটি
'বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী'র ১৬তম জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দিলীপ রায়, সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন সহ ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।[৩]
তথ্যসূত্র