বাদশাহী আংটি হল সন্দীপ রায় পরিচালিত ফেলুদা ধারাবাহিকের একটি চলচ্চিত্র।[২][৩] সাহিত্যিক ও পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের একই নামের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।[৪]
এতে প্রথমবারের মত ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়।[৫][৬] দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী এই চরিত্রে অভিনয় করছিলেন এবং তিনিই আবীরের কথা বলেন।[৭][৮] পরিচালক সন্দীপ রায়ও এই নতুন ফেলুদার প্রশংসা করেন।[৯] প্রথম কোন ফেলুদা চলচ্চিত্রে লালমোহনবাবু চরিত্রটি থাকছে না।
২০১৪ সালের ২১শে অক্টোবর এই চলচ্চিত্রের প্রথম লুক উন্মোচিত হয়। ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।[১০][১১][১২][১৩] শহরের মাল্টিপ্লেক্সে এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়।[১৪]
কাহিনী
তিনশো বছরের বেশি পুরনো, আওরঙ্গজেবের আংটি চুরি নিয়েই এই চলচ্চিত্রের কাহিনী এগিয়ে গেছে। এই কাহিনীর স্থান উত্তরপ্রদেশের লক্ষ্ণৌ।[২] বাদশাহী আংটি উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটের কারণেই কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। উপন্যাসে এক স্থানে প্রাইভেট চিড়িয়াখানার কথা বলা আছে, সেন্সরের কারণে সেখানে পরিবর্তন আনা হয়েছে।[৬][১৫]
অভিনয়ে
প্রযোজনা
দৃশ্যায়ণ
কাহিনীর প্রয়োজনেই লখনউ ও হরিদ্বার[১৭] এ দৃশ্যায়ণ করা হয়েছে। ৭০ জনের ইউনিট দৃশ্যায়ণ করেছে লখনউয়ে।[১৬]
কাহিনীর দৃশ্যায়ণের জন্য পাইথনের সাথেও কাজ করতে হয়। এই পর্যায়ের কাজ হয়েছে দাসানির ২ নং স্টুডিওতে।[১৮] বাকি কাজ করা হয়েছে কলকাতা রেলস্টেশন, শহরের রাস্তায় এবং পার্পল স্টুডিওতে।[১৯]
টেলিভিশনে সম্প্রচার
২২শে মার্চ, ২০১৫ সালে স্টার জলসায় এই চলচ্চিত্রটি প্রথমবারের মত সম্প্রচার করা হয়।
রিভিউ
দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া বাদশাহী আংটিকে দিয়ে এর নির্মাণ, অভিনয়ের উচ্চকিত প্রশংসা করে এবং শৈশবকে ফিরিয়ে আনার কথাও বলে।[২০] এই সময় চলচ্চিত্রটিকে র্যাংকিং দেয় এবং চিত্রনাট্যের বিভিন্ন দিক ও "ফেলুদা-রূপী" আবীর চট্টোপাধ্যায়ের নানাদিকের অভিনয়ের প্রশংসা করে।[২১] আজকালও আবীরের অভিনয়ের, কাহিনীর ধরে রাখার ক্ষমতা ও নির্মাণের প্রশংসা করে। এছাড়াও বলে, এই চলচ্চিত্রে গল্পের ধাঁচটাকে বজায় রাখা হয়েছে। তবে সর্বক্ষেত্রেই তোপসে"র অভিনয়ের ত্রুটিকে তুলে ধরা হয়েছে।[২২]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র