বাদশাহ হামাদ কজওয়ে সৌদি আরব এবং বাহরাইনকে সংযুক্ত করার জন্য বাহরাইন উপসাগরের উপর দিয়ে সেতু, সড়ক ও রেলপথের সমন্বিত প্রস্তাবিত 'কজওয়ে', যার নির্মাণকাজ বর্তমান বাদশাহ ফাহাদ কজওয়ের সমান্তরালে চলছে। এটি বাহরাইন ও সৌদি আরবকে সংযুক্ত করা দ্বিতীয় সেতু।[১] কজওয়েটি প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর করার জন্য পরিকল্পিত। বাদশাহ ফাহাদ কজওয়ের যানযট কমানোর লক্ষ্যে এটিতে যাত্রীবাহী ট্রেন, মালবাহী ট্রেন এবং মালবাহী যানবাহনকে চলয়াচলের উপযোগী করে নির্মাণের জন্য পরিকল্পিত।[২] কজওয়েটির অনুমিত নির্মাণকাল ৪ বছর[২] এবং ব্যয় $৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এটি প্রস্তাবিত ২১৭০ কিলমিটার দীর্ঘ উপসাগরীয় রেলওয়ের একটি অংশ হবে।[৩][৪] এই কজওয়ে'র মাধমে বাহরাইনের সাথে মূল আরব উপদ্বীপের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।[৫]
ইতিহাস
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জেদ্দায় বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা এবং সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের মধ্যে বৈঠকের সময় কজওয়েটি প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল।[৪] এসএনসি লাভালিন নামক নির্মাণসংস্থাকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল।[৫]
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের বাহরাইন সফরের সময়, দুই দেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। তারা কজওয়ে নির্মাণের জন্য সমীক্ষা করতেও সম্মত হয়। প্রকল্পটি বেসরকারি খাতের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।[৪][৬]
তথ্যসূত্র