বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্কে বোঝায়। ইইউ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য।[১] বাংলাদেশে ইইউর বর্তমান রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিংক।[২][৩]
ইতিহাস
২০১৬ সালে ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অভিবাসন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বাংলাদেশ-ইইউ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপটি অনিয়মিত অভিবাসন এবং এটি পরিচালনা এবং বাংলাদেশে এ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উপায়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।[৪] ২০১৬ সালে বাংলাদেশের এনজিও সংক্রান্ত নতুন নিয়মকানুন নিয়ে ইইউ তাদের হতাশা প্রকাশ করেছে।[৫]
সাংস্কৃতিক সম্পর্ক
ইইউ বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতি, গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা উন্নয়নে প্রচারণা চালিয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ইইউ-এর সাথে দেশের শ্রম পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্ট স্বাক্ষর করেছে।[৬] ইইউ বাংলাদেশেও মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করার প্রচারণা চালিয়েছে।[৭]
অর্থনৈতিক সম্পর্ক
২০০১ সালে ইইউ-বাংলাদেশ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।[৮] ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) উদ্যোগের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করে।[৯] ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার যা বাংলাদেশের মোট বাণিজ্যের ২৪ শতাংশ। ইউনিয়নের ৩৫তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে ইইউতে রপ্তানির করা পণ্যের ৯০ শতাংশই পোশাক। ইইউ-এর রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি এবং ৪৯ শতাংশ পরিবহন সরঞ্জাম।[১০] এভরিথিং বাট আর্মস স্কিমটি ২০২১ সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে যখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে।[১১]
তথ্যসূত্র
|
---|
|
আফ্রিকা | | |
---|
আমেরিকা | |
---|
এশিয়া | মধ্য এশিয়া | |
---|
পূর্ব এশিয়া | |
---|
দক্ষিণ এশিয়া | |
---|
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া | |
---|
পশ্চিম এশিয়া | |
---|
|
---|
ইউরোপ | |
---|
ওশেনিয়া | |
---|