পাট শিল্প হলো বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ভারী শিল্প, যা ব্রিটিশ শাসনামলে এবং পাকিস্তানি আমলে একক বৃহত্তম শিল্প।[১] বর্তমান বিশ্বের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের বৃহদাংশই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা মোট বিশ্ববাজারের প্রায় ৬৫%।[২]
ইতিহাস
ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই এই অঞ্চলে পাটের চাষ হলেও এখানে প্রথম পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালের মাঝামাঝিতে নারায়ণগঞ্জে; বেসরকারি পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত এই মিলটির নাম ছিলো বাওয়া পাটকল।[১][৩] পরবর্তীতে এই সময়েই একই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজী পাটকলের; এবং এর পরপরই কয়েক বছরের মধ্যে গড়ে ওঠে অসংখ্য শিল্প কারখানা, ১৯৬০'এ যার সংখ্যা ১৬টি ও ১৯৭১ সালে যা দাড়াঁয় ৭৫টিতে।[৩]
উতপাদিত দ্রব্য
কাঁচা পাট ছাড়াও পাট হতে উৎপাদিত দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, সুতা, দড়ি, চট, বস্তা, চা, ব্যাগ, মোড়ক, তন্তু, খাদ্য প্রভৃতি।[১][২][৪]
শিল্পের বিস্তার
বাংলাদেশে পাট শিল্পের সূচনাই ঘটে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এর আশেপাশেই গড়ে ওঠে।[৫] ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম - এই তিনটি প্রধান এলাকায় ছড়িয়ে আছে এর প্রতিষ্ঠাগুলো।[৩]
↑ কখগএম মোফাখখারুল ইসলাম (জানুয়ারি ২০০৩)। "পাট শিল্প"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৯। পাট শিল্প ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলায় এবং পাকিস্তানি আমলে পূর্ব বাংলায় (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন ছিল একক বৃহত্তম শিল্প।