বাংলাদেশ নেভাল এভিয়েশন হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উড্ডয়ন শাখা। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দ্বি-মাত্রিক শক্তিতে পরিণত করে ১৪ জুলাই ২০১১ সালে এর যাত্রা শুরু হয়।
ইতিহাস
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনী যাত্রা শুরু করে। সেই সময় নৌবাহিনী ছিল কেবল সমুদ্র উপরিস্থ জাহাজ দিয়ে সজ্জিত একটি বাহিনী। নতুন সহস্রাব্দে এসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডুবোজাহাজ এবং বিমান দিয়ে সজ্জিত একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে শুরু করে। ২০০৯ সালে নৌবাহিনীর জন্য প্রথম দুটি বিমানের ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়। বিমান দুটি ছিল আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড এডব্লিউ-১০৯ অনুসন্ধান ও উদ্ধার হেলিকপ্টার। ২০১১ সালের ১৪ জুলাই এই দুটি হেলিকপ্টার যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে নেভাল এভিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে দুইটি ডরনিয়ার ডিও ২২৮এনজি সামুদ্রিক টহল বিমান এই বহরে যুক্ত হয়। [১][২] ২০১০ সালে ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়নের পর এই লক্ষ্য অনুসারে নেভাল এভিয়েশনের উন্নয়ন চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ নেভাল এভিয়েশন ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ডিও-২২৮এনজি বিমান নিয়ে নিখোজ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ এর অনুসন্ধান অভিযানে যোগদান করেছিল। অস্ট্রেলিয়ার এক অনুসন্ধান সংস্থা বঙ্গোপসাগরে বিমানের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করার দাবি করার পর ২০১৪ সালের মে মাসে নতুন করে আরো একবার অনুসন্ধান অভিযান চালানো হয়েছিল।[৩]
প্রতিক
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিমানসমূহ, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রেখে সবুজ ও লাল পরিচয়সূচক চক্র ব্যবহার করে। বিমানের লেজে নৌবাহিনীর পতাকা বসানো থাকে। বিমানের ডানপাশে বাংলায় "বাংলাদেশ নৌবাহিনী" ও বামপাশে ইংরেজিতে "BANGLADESH NAVY" লেখা রয়েছে। [২]
নেভাল এভিয়েশনের জন্য দুটি ডরনিয়ার ডিও ২২৮এনজি বিমান ২০১৭ সালে অর্ডার করা হয় যা বর্তমানে নির্মানাধীন। এই দুটি বিমান সীস্প্রে ৫০০০ই এইএসএ রাডার দিয়ে সজ্জিত হবে। [৯]
বাংলাদেশ নৌবাহিনী মোট চারটি হেলিকপ্টার কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল। এই হেলিকপ্টারগুলিতে ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধ সক্ষমতা, জাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধ সক্ষমতা, দিগন্তের অপর পাশে লক্ষ্যস্থিরকরণ, সামুদ্রিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার, বিশেষ অভিযান পরিচালনা ইত্যাদি সক্ষমতা থাকবে।[১০][১১]
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান, নৌবাহিনীতে ভবিষ্যতে আরও সামুদ্রিক টহল বিমান, ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী হেলিকপ্টার এবং দূরপাল্লার টহল বিমান যুক্ত হবে।[১২]
↑"Tender Specification of Helicopters"(পিডিএফ)। Directorate General Defence Purchase। ৩ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৮।