বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস হলো বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ইসমাঈল নূরপুরী এই দলের আমীর এবং মামুনুল হক সাধারণ সম্পাদক। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হল রিকশা।
ইতিহাস
খেলাফত মজলিস ১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর আজিজুল হক নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন, আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী যুব শিবির, ভাসানীর ন্যাপের একাংশের নেতা, তমদ্দুন মজলিসের সংগঠক ভাষাসৈনিক মাসউদ খানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠত হয়। প্রথম আমির ছিলেন আবদুল গফফার। তারপর আমির হন আজিজুল হক। তার অবর্তমানে আমির হন হাবিবুর রহমান। ২০০৫ সালে খেলাফত মজলিস দুই ভাগ হয়ে যায়। একটি ভাগ খেলাফত মজলিস নামে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে যায়। অপর ভাগটি জোট থেকে বেড়িয়ে গিয়ে ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’ নাম ধারণ করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামী লীগের ৫ দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তিতে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল, তারা নির্বাচিত হলে কুরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন করবে না। বামপন্থীদের চাপে সে চুক্তি কার্যকর করা যায় নি।[১][২] প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯০ সালে স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৩ সালে বাবরি মসজিদ পুনঃনির্মাণের দাবিতে ভারত অভিমুখে লংমার্চ, ১৯৯৪ সালে তসলিমা নাসরিনসহ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, পার্বত্য চুক্তি বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ, বসনিয়ার মুসলমানদের সাহায্যের জন্য মুজাহিদ সংগ্রহ, নাস্তিক আলী আজগরের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন, ফতোয়াবিরোধী রায় বাতিলের দাবিতে আন্দোলন, সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন আন্দোলন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন, ইসলামের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাসের আন্দোলনসহ এটি বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত করেছে।[৩]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
|
---|
|
বর্তমান জোট | |
---|
সাবেক জোট | |
---|
নিবন্ধিত | |
---|
অনিবন্ধিত | |
---|
আঞ্চলিক দল | |
---|
|