বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে কপিরাইট ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী আধাবিচারিক একটি সংস্থা যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত।[১][২]
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
মেধাসম্পদের মালিকানা নিবন্ধনের লক্ষ্যে কপিরাইট অফিস ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিস্থাকালে আঞ্চলিক কপিরাইট অফিস নাম থাকলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস নামকরণ করা হয়। কপিরাইট অফিস একটি আধা-বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান। এর কার্যাবলী কপিরাইট আইন-২০০০ (২০০৫ সালে সংশোধিত) ও কপিরাইট বিধিমালা ২০০৬ মোতাবেক পরিচালিত হয়। এ অফিস যে প্রধান ৪টি কাজ করে থাকে তা হল :
১) সৃজনশল মেধাস্বত্বের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন প্রদান ;
২) আপিল মামলা নিষ্পত্তিতে কপিরাইট বোর্ডকে সহায়তা প্রদান ;
৩) পাইরেসি বন্ধকরণে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা এবং
৪) বিশ্ব বুদ্ধিজীবী সম্পত্তি সংগঠনের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন। [৩]
কপিরাইট অফিস সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, সংগীতকর্ম, রেকর্ডকর্ম, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্র বিষয়ককর্ম, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্ম ইত্যাদি নিবন্ধন করে থাকে। মেধাসম্পদের আর্থিক অধিকার হস্তান্তরযোগ্য। কপিরাইট নিবন্ধন করা হলে সৃজন কর্মের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার অর্থাৎ মালিকানা সংরক্ষণ সহজ হয়। কপিরাইট নিবন্ধন আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলক না হলেও, সৃজন কর্মের মালিকানা নিয়ে আইনগত জটিলতা দেখা দিলে কপিরাইট নিবন্ধন সনদ প্রমাণপত্র হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে ব্যবহৃত হতে পারে। কপিরাইট অফিস বাংলাদেশ সর্বদা আন্তরিক সেবা প্রদান করে থাকে।
ইতিহাস
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর আঞ্চলিক কপিরাইট অফিস বর্তমান জাতীয় কপিরাইট অফিসে পরিণত হয়। এটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনের একটি বিভাগ।[১] পেটেন্টস, ডিজাইনস এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করা হলেও প্রতিষ্ঠার দুটি ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন হওয়ায় সমন্বয় সাধন সম্ভব হয়নি। তবে উভয়ই বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য দায়ী।[৪] খুব সহজে কপিরাইটের জন্য অফিসটির ওয়েবসাইটে আবেদন করা যায়।[৫]
তথ্যসূত্র