বনানী ঘোষ (মৃত্যু ৭ জুন, ২০২৩[১])একজন প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙালী কণ্ঠশিল্পী। তিনি মূলতঃ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এছাড়াও অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্তসহ অন্যান্য গানেও তার সবিশেষ দক্ষতা রয়েছে। তাকে ‘রুবি’ নামেও ডাকা হত।[২]
প্রারম্ভিক জীবন
বর্তমান বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা প্রফুল্ল কৃষ্ণ ঘোষ একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, কবি ও শিশুতোষ সাময়িকীর সম্পাদক ছিলেন।[৩] হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন বনানী ঘোষ। প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেও শান্তিনিকেতনে কাজ করেছেন তিনি ও তার কণ্ঠস্বরের সাথে ব্যাপক মিল রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন,
“
|
যার কাছে এত একান্তে বসে দিনের পর দিন গান শিখেছি, তার প্রভাব কি আমার মধ্যে ছিটেফোঁটাও পড়বে না? সেটা কিন্তু স্বেচ্ছাকৃত নয়, আবার নকল করার উদ্দেশ্যেও নয়—এটা তাকে কাছে পাওয়ার ফলশ্রুতি।
|
”
|
— আমাদের সময়
|
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। পণ্ডিচেরীর দিলীপকুমার রায়ের সাথেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ১৯৭০-এর দশকে রবীন্দ্রসঙ্গীত জগতে প্রবেশের পর তিনি খুব দ্রুতলয়ে আকাশবাণী এবং দূরদর্শনে স্থান করে নেয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা দেখান।
কর্মজীবন
সুইজারল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবাস গড়েন তিনি। তন্মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রে 'অন্তরা' নামের রবীন্দ্রসঙ্গীতের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি রবীন্দ্র মেলা উৎসবেরও আয়োজন করেছেন যাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রবিঠাকুরের সৃষ্ট কর্মসমূহকে ছড়িয়ে দেয়া যায়। বেশ কয়েকটি নৃত্য নাটকও মঞ্চস্থ করেছেন। তন্মধ্যে ১৯৬২ সালে শাপমোচন ও ১৯৮৩ সালে রোচেস্টারে ভানুসিংহের পদাবলী উল্লেখযোগ্য।
মৃত্যু
দীর্ঘদিন রোগভোগের পর ৭ জুন, ২০২৩ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।[৪]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ