ফিলিস্তিন শরণার্থী শিবির১৯৪৮ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ পরবর্তীকালে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের ও নাকবার ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী নাগরিকদের জন্য নির্মিত শরণার্থী ক্যাম্প। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (UNGA) ১৯৪তম ধারা অনুযায়ী এই সকল শরণার্থীরা "নিজেদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে" বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করলে নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার অধিকার রাখেন।
জাতিস্ংঘের সংজ্ঞা মতে, "১৯৪৬ সালের ১লা জুন থেকে ১৯৪৮ সালের ১৫ই মে সময়কালে ফিলিস্তিনে সাধারণভাবে বসবাসরত এবং ১৯৪৮ সালের দ্বন্দ্বে বস্তুচ্যূত হওয়া ফিলিস্তিন বাসিন্দা"রা ফিলিস্তিনের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
এখন পর্যন্ত অনেক ফিলিস্তিনী এরকম শরণার্থী শিবিরে থেকে গেছেন। যদিও অন্যান্যরা জর্দানের সমাজে মিশে গেছেন, কেউবা ফিলিস্তিনী অধ্যুষিত অঞ্চলে বসতি গড়েছেন।
ইতিহাস
১৯৪৮ সালে সংঘটিত ফিলিস্তিন যুদ্ধের সময় ৭,০০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি গৃহহীন হয়েছিল।[১] ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ সময়কালে ফিলিস্তিনের মোট উদ্বাস্তু সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।[২] তবে পরবর্তীতে গঠিত ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ৮০%-এর কাছাকাছি আরব বাসিন্দা গৃহহীন হয়েছিল।[৩][৪] ইহুদিদের সামরিক আগ্রাসন, আরব গ্রামগুলিতে হামলা, দেইর ইয়াসিন গণহত্যার মত আরেকটি গণহত্যার ভয়সহ বিভিন্ন কারণে ফিলিস্তিনি বাস্তুহারা হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।[৫]:২৩৯–২৪০[৬][৭] পরবর্তীতে ইসরায়েলের প্রথম সরকারের জারিকৃত আইনসমূহে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদেরকে দেশটিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে ততকালীন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও তাদের বংশধররা ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুতে পরিণত হয় এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।[৮][৯]
জাতিসংঘের ভূমিকা
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএনআরডাব্লিউএ জর্দান, লেবানন, সিরিয়া, গাজা ভূখণ্ড এবং পশ্চিম তীরএর মোট ৫৯টি শরণার্থী শিবিরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৪৮ সালের সংঘাত পরবর্তীকালে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও এই সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করে। ১৯৫২ সালে দেশটির কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজেরা তুলে নেয়ার আগ পর্যন্ত সংগঠনটি ত্রাতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল।
জাতিসংঘ কর্তৃক শরণার্থী শিবির তৈরির পূর্বে ত্রাতা রাষ্ট্র এবং ইউএনআরডাব্লিউএ-এর কর্তৃপক্ষের মাঝে সমঝোতা হয়। সংগঠনটি নিজেরা কোন শরণার্থী শিবির পরিচালনা করে না, নিজেদের পুলিশ জনবল নেই কিংবা প্রাশাসনিক ক্ষমতাবলও নেই, তারা শুধুমাত্র সেবা প্রদানকারী। তাবুঘেরা শহর, কনক্রিটের ব্লক ঘর, শহুরে বস্তিসহ বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে।
শরণার্থী শিবির সংখ্যা
এই তালিকায় ২০১৪ সালে শরণার্থী শিবিরগুলোর জনসংখ্যা এবং প্রতিষ্ঠাকাল লিপিবদ্ধ করা হল:[১০]
↑Pittsburg Press (মে ১৯৪৮)। "British Halt Jerusalem Battle"। UP। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১০। The British spokesman said that all 12 members of the Arab Higher Committee have left Palestine for neighboring Arab states… Walter Eyelan, the Jewish Agency spokesman, said the Arab leaders were victims of a "flight psychosis" which he said was sweeping Arabs throughout Palestine.
↑UNRWA। "Overview"। United Nations Relief and Works Agency। United Nations Relief and Works Agency for Palestine Refugees। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১১।