ফিলিপ হ্যান্ডস
১৯২৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ফিলিপ হ্যান্ডস |
|
পূর্ণ নাম | ফিলিপ আলবার্ট মাইবার্গ হ্যান্ডস |
---|
জন্ম | (১৮৯০-০৩-১৮)১৮ মার্চ ১৮৯০ ক্লেয়ারমন্ট, কেপ টাউন, কেপ উপনিবেশ |
---|
মৃত্যু | ২৭ এপ্রিল ১৯৫১(1951-04-27) (বয়স ৬১) পারিস, অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট, দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান |
---|
সম্পর্ক | রেজিনাল্ড হ্যান্ডস (ভ্রাতা) কেনেথ হ্যান্ডস (ভ্রাতা) |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮৪) | ১৩ ডিসেম্বর ১৯১৩ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
শেষ টেস্ট | ২৬ জুলাই ১৯২৪ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
ফিলিপ আলবার্ট মাইবার্গ হ্যান্ডস (ইংরেজি: Philip Hands; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৮৯০ - মৃত্যু: ২৭ এপ্রিল, ১৯৫১) কেপ টাউনের ক্লেয়ারমন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯১৩ থেকে ১৯২৪ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন ফিলিপ হ্যান্ডস।
শৈশবকাল
স্যার হ্যারি হ্যান্ডস, কেবিই ও লেডি অ্যালেটা হ্যান্ডস, ওবিই দম্পতির সন্তানরূপে কেপটাউনের ক্লেয়ারমন্ট এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রেজিনাল্ড হ্যান্ডস ও কেনেথ হ্যান্ডস নামীয় তার অপর দুই জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ছিল। রন্দেবশের ডাইওসেসান কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ১৯০৮ সালে রোডস বৃত্তিধারী হিসেবে অক্সফোর্ডের ইউনিভার্সিটি কলেজে অধ্যয়ন করেন। শুরুতে আইনশাস্ত্রে অধ্যয়ন করলেও পরবর্তীকালে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনো করেছিলেন।[২]
রয়্যাল গ্যারিসন আর্টিলারিতে যুক্ত ছিলেন।[২] প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ডিএসও এবং এমসি পদকে ভূষিত হন ও মেজর পদবী ধারণ করেন।[৩][৪]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯০৬-০৭ মৌসুম থেকে ১৯২৬-২৭ মৌসুম পর্যন্ত ফিলিপ হ্যান্ডসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে বেশ সুনাম ছিল তার। মহান যুদ্ধের কারণে ফিলিপ হ্যান্ডস তার স্বর্ণালী মৌসুম নষ্ট করেন। এ সময়ে সবে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলছিলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ফিলিপ হ্যান্ডস। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯১৩ তারিখে ডারবানে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ জুলাই, ১৯২৪ তারিখে ম্যানচেস্টারের একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯১৩-১৪ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ২৮১ রান তুলে যে-কোন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানের চেয়ে অধিক সংগ্রহ করেন। পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম ইনিংসে ৮৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৫ মিনিটে সংগৃহীত ৯৮ রানের মধ্যে তার অংশ ছিল ব্যক্তিগত সেরা ৮৩ রান।[৩]
১৯২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি।[৩] এ সফরে ২৬ ইনিংস খেলে মাত্র ৪২৬ রান তুলেন। একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করলেও ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি।
ব্যক্তিগত জীবন
তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রেজিনাল্ড হ্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১৯১৪ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কনিষ্ঠ ভ্রাতা কেনেথ হ্যান্ডস প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করলেও টেস্টে খেলার সুযোগ পাননি। সর্বক্রীড়ায় পারদর্শী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯১০ সালে তার অপর দুই ভ্রাতা রাগবি ক্রীড়ায় ব্লুধারী হলেও তিনি ক্রিকেটে তা পাননি।
২৭ এপ্রিল, ১৯৫১ তারিখে ৬১ বছর বয়সে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের পারিস এলাকায় ফিলিপ হ্যান্ডসের দেহাবসান ঘটে।[৪] উইজডেনে তার স্মরণে কোন সংস্করণে প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণ কিংবা এক টেস্টে অংশগ্রহণকারী তার অপর ভাই রেজিনাল্ড হ্যান্ডসের বিষয়ে আলোকপাত করেনি।
তথ্যসূত্র
- ↑ "South Africa, Church of the Province of South Africa, Parish Registers, 1801-2004," database with images, FamilySearch (https://familysearch.org/pal:/MM9.3.1/TH-1942-23589-14765-34?cc=1468076 : accessed 19 January 2016), South Africa > Cape of Good Hope > Cape Town, Claremont, St Saviour > Baptisms 1910-1926 > image 302 of 396; William Cullen Library, Wits University, Johannesburg.
- ↑ ক খ Schulze, Heinrich (১৯৯৯)। South Africa's Cricketing Lawyers। [South Africa]: Halfway House। পৃষ্ঠা 106–109। আইএসবিএন 9780620250498।
- ↑ ক খ গ Wisden 1952, p. 956.
- ↑ ক খ http://www.geni.com/people/Philip-Hands/6000000039498091796?through=6000000039497564055
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ