ফিদেল হেন্ডারসন এডওয়ার্ডস (ইংরেজি: Fidel Edwards; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২) বার্বাডোসের সেন্ট পিটার এলাকয় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার। ডানহাতি ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংয়েও পারদর্শী তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফাস্ট বোলার জেফ থমসনের বোলিংয়ের প্রতিচ্ছবি তার মধ্যে দেখা যায়।[১] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, ডেকান চার্জার্স, সিডনি থান্ডার, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস, রংপুর রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস দলেও খেলেছেন ফিদেল এডওয়ার্ডস। বার্বাডোসে তার ক্লাব দল হচ্ছে ওয়াইএমপিসি।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
১ ফেব্রুয়ারি, ২০০২ তারিখে উইনওয়ার্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়। প্রথম ইনিংসে টিনো বেস্টের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। খেলায় তিনি জুনিয়র মারে’র একমাত্র উইকেটটি দখল করেছিলেন।[৩]বার্বাডোসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাত্র এক খেলায় অংশগ্রহণের পর অনুশীলনীমূলক খেলায় ব্রায়ান লারা’র নজর কাড়েন। এরফলে ২৭ জুন, ২০০৩ তারিখে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটে তার।[৪][৫] টেস্ট জীবন চমৎকারভাবে শুরু হলেও আঘাতপ্রাপ্তি তার জীবনে নিত্যসঙ্গী। ২০০৯ সালে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তাকে পুনরায় পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত করে। ফলে ২০১১ সাল পর্যন্ত দলের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছে।
২০০৩-এর মাঝামাঝি সময়ে টিনো বেস্ট, পেড্রো কলিন্স, কোরি কলিমোর, ভ্যাসবার্ট ড্রেকস, ইয়ান ব্রাডশ’য়ের ন্যায় ক্রিকেটারদের ভীড়ে তাকে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। ঐ খেলায় তিনি ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু বোলিংয়ে ৫/৩৬ ও ১/৫৪ লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে ভূমিকা রাখেন।[৬]
হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুযের বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেকে নিজস্ব সেরা ৬/২২ লাভ করেন যা জানুয়ারি, ২০১৫ পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৬-উইকেট প্রাপ্তি ছিল। পরবর্তীতে ঐ সফরে তার আঘাতপ্রাপ্তি পুনরায় বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরফলে দক্ষিণ আফ্রিকায় চার টেস্টে অংশ নিয়ে ৬৪৮ রান দিয়ে তিনি মাত্র ৮ উইকেট পান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য পেড্রো কলিন্স সম্পর্কে তার সৎ ভাই। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখ আইপিএলের নিলামে ডেকান চার্জাসের সাথে ১৫০,০০০ ডলারের বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হন।