ফজলে কবির বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১] গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রায়াত্ত সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এর আগে অর্থসচিব ও রেলপথ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাটের ঘটনায় ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর[২] ফজলে কবির নিয়োগ পান।[৩]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
১৯৫৫ সালের ৪ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফজলে কবির। তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার হাসাইল-বানারী গ্রামে। ফজলে কবিরের স্ত্রী মাহমুদা শারমিন বেনু বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
শিক্ষা ও কর্মজীবন
ফজলে কবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। তিনি ১৯৮০ রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারে ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচে যোগ দেন তিনি। ২০১২ সালে অর্থ সচিবের দায়িত্বে আসার আগে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ফজলে কবির। বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদেও ছিলেন তিনি। [৪]
৩৪ বছরের দীর্ঘ চাকরি জীবনে ফজলে কবির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ ও মাঠপর্যায়ে কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]
এছাড়া ফজলে কবির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন একাডেমি ও ২০১২ সালে অর্থসচিব হিসেবে যোগদানের আগে তিনি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাতিসংঘের ফিন্যান্স এবং বাজেট কমিটি অধিবেশনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।[৬]
তথ্যসূত্র