প্রবাসী বাঙালি বলতে বাংলার বাইরে বসবাস বসবাসকারী বা বাংলার বাইরে জন্মগ্রহণকারী বাঙালিদের বোঝায়। রাষ্ট্রের ভিত্তিতে প্রবাসী বাঙালিদের প্রবাসী বাংলাদেশী ও প্রবাসী ভারতীয় বাঙালিতে বিভক্ত করা যায়। অন্যদিকে, ধর্মের ভিত্তিতে এদের প্রবাসী বাঙালি মুসলিম ও প্রবাসী বাঙালি হিন্দুতে বিভক্ত করা যায়।
ইউরোপ
যুক্তরাজ্য
এশিয়া
ভারত
ভারতের জনগণনায় নৃগোষ্ঠী স্বীকৃত নয়, তবে দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের অনুমান অনুযায়ী ভারতে ১০ কোটি বাঙালি রয়েছে যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭%।[১] পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আসামের বরাক উপত্যকা এবং নিম্ন অঞ্চল, ও পাশাপাশি ত্রিপুরা এবং মণিপুরের কিছু অংশে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।[২] ত্রিপুরা এবং বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বাঙালি-অধ্যুষিত জনসংখ্যার আবাসস্থল। এদের অধিকাংশই ১৯৪৭ সাল থেকে পূর্ব বাংলা (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে আগত হিন্দুদের বংশধর।[৩]:৩–৪[৪][৫] ভারত সরকারের পরবর্তী রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে কলোনাইজেশন প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকাগুলোতে বাঙালি হিন্দুদের অভিগমন বৃদ্ধি পায়।
ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সংখ্যা অত্যন্ত বিতর্কিত। ২০০১ ভারতের জনগণনা অনুযায়ী, অন্তিম বাসস্থানের বিচারে ভারতে ৩১ লাখ বাংলাদেশী এবং জন্মস্থান অনুযায়ী ৩৭ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করে।[৬] ২০০৯ সালের অনুমান অনুযায়ী দেশে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করে।[৬] ২০০৭ সালে ভারত সরকারের দাবি অনুযায়ী প্রায় ৩০,০০০ বাংলাদেশী বেআইনিভাবে বসবাস করে,[৭] তবে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সমীর গুহ রায়ের মতে এহেন দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অতিরঞ্জিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও অন্যান্য জনপরিসংখ্যান যাচাই করে তিনি বলেন যে যাদের "বেআইনিভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশী" বলে মনে করা হয়েছে তাদের অনেকেই আদতে প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আগত ভারতীয় নাগরিক। তাঁর এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে বার্ষিক প্রায় ৯১,০০০ জন বাংলাদেশী নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে।[৮]
উত্তর আমেরিকা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব
ভারত (পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা ব্যতীত)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাজ্য
তথ্যসূত্র
- ↑ Kumar, Jayant. Census of India. 2001. 4 September 2006. Indian Census
- ↑ Khan, Muhammad Chingiz (১৫ জুলাই ২০১৭)। "Is MLA Ashab Uddin a local Manipuri?"। Tehelka (ইংরেজি ভাষায়)। 14: 36–38।
- ↑ "The state of human development" (পিডিএফ)। Tripura human development report 2007। Government of Tripura। ২০০৭। ২ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১২।
- ↑ Karmakar, Rahul (২৭ অক্টোবর ২০১৮)। "Tripura, where demand for Assam-like NRC widens gap between indigenous people and non-tribal settlers"। The Hindu।
- ↑ Shekhar, Sidharth (১৯ এপ্রিল ২০১৯)। "When Indira Gandhi said: Refugees of all religions must go back"। Times Now news। ২৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ ক খ Rudnick, Anja (২০০৯)। Working Gendered Boundaries: Temporary Migration Experiences of Bangladeshi Women in the Malaysian Export Industry from a Multi-Sited Perspective। Amsterdam University Press। পৃষ্ঠা 49–51। আইএসবিএন 978-9056295608।
- ↑ Gupta, Charu; Mukul Sharma (২০০৭)। Contested Coastlines: Fisherfolk, Nations and Borders in South Asia। Routledge। পৃষ্ঠা 148। আইএসবিএন 978-0415449052।
- ↑ Hans Günter Brauch; John Grin; Úrsula Oswald (২০০৯)। Facing Global Environmental Change: Environmental, Human, Energy, Food, Health and Water Security Concepts। Springer। পৃষ্ঠা 304। আইএসবিএন 978-3540684886।
- ↑ https://economics.mit.edu/faculty/banerjee/short MIT's Department of Economics. Retrieved 29 May 2021
- ↑ "Questions Sal is Frequently Asked"। Khan Academy। ২০১০-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-২৫।