প্রথম কৃষ্ণ (৭৫৬–৭৭৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন দন্তিদূর্গের কাকা। তিনি ৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে শেষ বাদামি চালুক্য সম্রাট দ্বিতীয় কীর্তিবর্মণকে পরাজিত করে রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেন। ৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় গোবিন্দের তাম্রলিপি ও গুজরাতের রাষ্ট্রকূট সম্রাট কর্কের বরোদার শিলালিপি থেকে এই তথ্য জানা যায়।[১] তিনি কান্নেরা বা কান্নেশ্বর নামে পরিচিত ছিলেন এবং "অকালবর্ষ", "শুবতুঙ্গ", "পৃথিবীবল্লভ" ও "শ্রীবল্লভ" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বিশিষ্ট জৈন ন্যায়বিদ ও রাজবর্তিকা গ্রন্থের রচয়িতা অকলঙ্ক ভট্টের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, প্রথম কৃষ্ণ তার ভাইপো দন্তিদুর্গের থেকে অন্যায়ভাবে সাম্রাজ্য আত্মসাৎ করেন।[২] তবে অন্য ঐতিহাসিকরা এই কথা স্বীকার করেন না। কারণ, তাদের মতে কবি ও নবসারির তাম্রলিপিতে "দন্তিদূর্গের মৃত্যু" কথাটি লেখা আছে এবং প্রথম কৃষ্ণ সম্ভবত দন্তিদুর্গের মৃত্যুর পরই সিংহাসনে বসেছিলেন। যদিও বরোদা শিলালিপি থেকে অনুমিত হয়, সিংহাসনে বসার আগে প্রথম কৃষ্ণকে সিংহাসনের অন্যান্য দাবিদারদের পরাস্ত করতে হয়েছিল। এঁদের মধ্যে সম্ভবত একজন রাষ্ট্রকূট রাজপুত্র বা দন্তিদুর্গের এক পুত্র ছিলেন।[৩]
প্রথম কৃষ্ণ পশ্চিম গঙ্গ সম্রাট শ্রীপুরুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গঙ্গবাদী (বর্তমান দক্ষিণ কর্ণাটক) ও শৈলহর (দক্ষিণ কোঙ্কণ) অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি পূর্ব চালুক্য সম্রাট চতুর্থ বিষ্ণুবর্ধনকে পরাজিত করেন।[৪] ৭৭০ খ্রিষ্টাব্দের অলস শিলালিপি অনুসারে, ইলোরার কৈলাশনাথ মন্দির তার আমলে নির্মিতে হয়। তিনি ১৮টি শিব মন্দির তৈরি করেন। তার ১৮০০ মুদ্রা সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে। এগুলিতে "পরম মহেশ্বর" কথাটি থেকে অনুমিত হয় তিনি সম্ভবত গোঁড়া শৈব ছিলেন।[৫] তার মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিতীয় গোবিন্দ সিংহাসনে বসেন।
Kamath, Suryanath U. (২০০১) [1980]। A concise history of Karnataka : from pre-historic times to the present। Bangalore: Jupiter books। এলসিসিএন8095179|lccn= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। ওসিএলসি7796041।
Reu, Pandit Bisheshwar Nath (১৯৯৭) [1933]। History of The Rashtrakutas (Rathodas)। Jaipur: Publication scheme। আইএসবিএন81-86782-12-5।