পেমবার্থি ধাতু শিল্প হল একটি ধাতব হস্তশিল্প যেটি ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের জনগাঁও জেলার পেমবার্থিতে তৈরি হয়।[১] তারা তাদের সূক্ষ্ম ধাতব চাদরের শিল্পকর্মের জন্য জনপ্রিয়।[২]
ইতিহাস
পেমবার্থি হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি গ্রাম। কাকতীয় রাজবংশের শাসনকালে এই অঞ্চলটি ৫০০ বছর ব্যাপী এক গৌরবের সময় প্রত্যক্ষ করেছিল। পেমবার্থিতে ধাতব কর্মী বা "বিশ্বকর্মা"দের অসামান্য কারিগরী সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ধাতব চাদরের কারুকাজের প্রক্রিয়াটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দু মন্দিরের বিগ্রহের (দেবমূর্তি) পাশাপাশি বাহন (রথ) এবং মন্দির ভাস্কর্যের অন্যান্য শৈল্পিক আনুষঙ্গিক সুশোভিত হত। এগুলি পেমবার্থি পিতল দ্রব্য নামেও জনপ্রিয় ছিল।[৩][৪]
মুসলিম শাসনের আবির্ভাবের পরে, পেমবার্থি কারিগররা তাদের শিল্পশৈলীর বিবর্তন ঘটায় এবং সুপারি বাক্স বা পানদান, সুগন্ধি পাত্র বা আতর পাত্র, ঝাড়লন্ঠন বা ঝুম্মার, ফুলদানি, বিশেষ ফলক এবং স্মৃতিচিহ্নের মতো স্বতন্ত্র সামগ্রীগুলি সজ্জিত করা শুরু করেছিল।[৩]
স্বাধীনতা উত্তর যুগে, রাজনৈতিক অবস্থার ওঠাপড়া সামলে, এই শিল্পটির পুনরুত্থান হয়েছিল। পরিবর্তিত চাহিদার ধরন অনুযায়ী এটি পুনঃপ্রবর্তিত হয়েছিল। সৌন্দর্যের পাশাপাশি ব্যবহারিক দিকটিতে আরও জোর দেওয়া হয়েছিল। পেমবার্থি পিতল দ্রব্য বহু বছর ধরে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের নিজস্ব সূক্ষ্মতাগুলি গ্রহণ করে সামগ্রী রচনা করেছে, যার মধ্যে নির্বিঘ্নে উভয় সংস্কৃতি মিশে গেছে। হস্তশিল্পের এই ধরনটি মর্যাদাপূর্ণ ভৌগোলিক নির্দেশিক পেয়েছে, যা আসলে এই নৈপুণ্যের জন্য সম্মানের।[৩]
তথ্যসূত্র