পেপ্টিক আলসার হল মানবদেহের পাচনতন্ত্রের অম্ল পরিবেশযুক্ত (অর্থাৎ পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রের ডুওডেনাম) অংশের ক্ষতজনিত একটি রোগ।
বিভিন্ন কারণে পেপটিক আলসার হতে পারে, যেমন, পাশ্চাত্যের জনগণের অধিকাংশ পেপ্টিক আলসার হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক কুন্ডলী আকৃতির এক প্রকারের ব্যাকটেরিয়া এর কারণে শুরু হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াটি পাকস্থলীর অম্লীয় পরিবেশে বিস্তার লাভ করে। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষের পাকস্থলীতে এই ব্যাক্টেরিয়াটির শান্তিপূর্ণ (আলসার-হীন) সহাবস্থান দেখা যায়। এস্পিরিনও অন্যান্য NSAID জাতীয় ঔষধ ও অনেক সময় আলসারের সূচনা করে।
প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা হল যে, এই ক্ষত রোগটি সর্বদা পাকস্থলীতে শুরু হয়, প্রকৃতপক্ষে অধিকাংশ ক্ষত ডুওডেনাম (তথা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ) এ হয়ে থাকে। পাকস্থলীর আলসারেরও প্রায় ৪% হয়ে থাকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এর কারণে।
পেপটিক আলসার রোগে সাধারণত পেটের ঠিক মাঝ বরাবর, নাভির একটু উপরে একঘেয়ে ব্যাথা অনুভব হয়। খালি পেটে বা অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খেলে ব্যাথা বাড়ে। আলসার মারাত্মক হলে বমি হতে পারে। এন্ডোস্কোপি বা বেরিয়াম এক্স-রের মাধ্যমে এ রোগ নির্ণয় করা যায়।