পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (ইংরেজি: Feature film) হলো একটি চলচ্চিত্র, যা দীর্ঘ সময় ধরে চলমান মুখ্য বা স্বতন্ত্র বিষবস্তু প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে একটি কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে সক্ষম। এর দৈর্ঘ্য কত হওয়া উচিত সময় এবং স্থান অনুযায়ী তার ভিন্নতা রয়েছে। একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট অনুযায়ী, একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য ৪০ মিনিট বা তার বেশি অন্যদিকে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড বিবৃতি দেয় ৮০ মিনিট বা তার বেশি।
বেশিরভাগ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ৭০ থেকে ২১০ মিনিট দৈর্ঘের হয়ে থাকে। দ্য করবেট-ফিৎসিমন্স ফাইট (১৮৯৭, ইউএসএ) প্রথম প্রামাণ্যচিত্র পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (দৈর্ঘ্য ১০০ মিনিট) হিসাবে বিবেচিত। এবং দ্য স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাঙ (১৯০৬, অস্ট্রেলিয়া)[১] প্রথম নাটকীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (আনুমানিক ৬০ মিনিট) হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অভিযোজন ছিল লেস মিসারেবল (১৯০৯, ইউএসএ)। অন্যান্য প্রাথমিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দ্য ইনফার্নো (L'Inferno) (১৯১১), কোয়ু ভাডিস? (১৯১২), অলিভার টুইস্ট (১৯১২), রিচার্ড ৩ (১৯১২), ফ্রম দ্য ম্যানেজার টু দ্য ক্রস (১৯১২) এবং ক্লিওপেট্রা (১৯১২)।
বর্ণনা
একাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস,[২] আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট[৩] এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট[৪] পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে ২৪০০ সেকেন্ড (বা ৪০ মিনিট) বা তার বেশি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে সংজ্ঞায়িত করেন।
তথ্যসূত্র