পুলিশ লাইন্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল |
---|
|
|
, ১৯০০
|
|
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি (Knowledge is power.) |
---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৮ ডিসেম্বর ১৯৯৬; ২৭ বছর আগে (1996-12-28) |
---|
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা |
---|
চেয়ারম্যান | পুলিশ সুপার, টাঙ্গাইল |
---|
প্রধান শিক্ষক | মোহাম্মদ আব্দুল কাদের |
---|
শ্রেণি | ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম |
---|
ভাষা | বাংলা |
---|
ওয়েবসাইট | plahst.edu.bd |
---|
পুলিশ লাইন্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, টাঙ্গাইল বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৯৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টি টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ লাইন্স এলাকায় অবস্থিত এবং এর EIIN নম্বর হলো 114723।[১]
প্রতিষ্ঠার পটভূমি
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় জনগণের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া এবং একটি সুশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়টি শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটি শিক্ষার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে।
অবকাঠামো
পুলিশ লাইন্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বিদ্যালয়ে রয়েছে:
- শ্রেণীকক্ষ: প্রশস্ত ও সজ্জিত শ্রেণীকক্ষ, যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পড়াশোনা করতে পারে।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা: সকল ক্লাসরুমসহ সম্পূর্ণ বিদ্যালয় সিসি ক্যামেরা দ্বারা সংরক্ষিত।
সুবিধা
- বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ল্যাব: বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা ও পরীক্ষার জন্য বিশেষ ল্যাব এবং তথ্য প্রযুক্তির জন্য আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব।
- লাইব্রেরি: একটি সুবিশাল লাইব্রেরি, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে বই ও গবেষণাপত্র সংরক্ষিত রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ভান্ডার বাড়াতে সহায়ক।
- খেলার মাঠ: শারীরিক শিক্ষা ও খেলাধুলার জন্য একটি সুন্দর খেলার মাঠ, যেখানে বিভিন্ন খেলাধুলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
- যাতায়াত ব্যবস্থা: যাতায়াতের জন্য ৪ টি বাস রয়েছে।[২]
শিক্ষাক্রম
বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিস্তৃত পাঠ্যক্রম প্রদান করে। এখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, ধর্ম শিক্ষা, এবং বিভিন্ন নির্বাচনী বিষয়ের উপর পাঠদান করা হয়। শিক্ষকরা নিয়মিত নতুন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাঠদান করেন, যা শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহকে বাড়িয়ে তোলে। বিদ্যালয়ের লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান নয়, বরং বাস্তব জীবনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করা।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম
বিদ্যালয়ে নিয়মিত সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলার কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। এসব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, নেতৃত্ব গুণ এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিজ্ঞান মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ পায়।[৩]
তথ্যসূত্র