পিটার মাইকেল রোবাক (ইংরেজি: Peter Roebuck; জন্ম: ৬ মার্চ, ১৯৫৬ - ১২ নভেম্বর, ২০১১) অক্সফোর্ডশায়ারের অডিংটনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেট তারকা ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। অবসর পরবর্তীকালে অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্রের কলাম লেখক ও বেতার ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন ‘রোবাক রুপার্ট’ ডাকনামে পরিচিত পিটার রোবাক।
কাউন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের মাধ্যমে ২৫০০০-এর অধিক রান সংগ্রহ করেছেন ও ১৯৮০-এর দশকে অন্যতম সেরা ইংরেজ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভে স্বীয় সক্ষমতা দেখিয়েছেন।[১] ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে ইংরেজ কাউন্টি দল সমারসেটের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। ১৯৮৯ সালে ইংরেজ একাদশের অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে দুইটি একদিনের খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন শেষে পাণ্ডিত্যপূর্ণ লেখনির কল্যাণে সানডে টাইমসের বিদগ্ধ সাংবাদিকে পরিণত হন ও পরবর্তীতে লেখক হিসেবে আবির্ভূত হন।[১] ১২ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে আত্মহননের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। যৌন নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশী জেরাকালীন এটি হয়।[৩] অক্টোবর, ২০১৫ সালে টিম লেন ও এলিয়ট কার্টলেজের যৌথ রচনায় ‘চ্যাজিং শেডোজ - দ্য লাইফ এন্ড ডেথ অব পিটার রোবাক’ শিরোনামীয় গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।[৪]
শৈশবকাল
অক্সফোর্ডের বাইরে ৬ মার্চ, ১৯৫৬ তারিখে অডিংটনের অক্সফোর্ডশায়ারে পিটার রোবাকের জন্ম।[৫] পিতা-মাতা উভয়েই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। এ দম্পতির ছয় সন্তানের অন্যতম ছিলেন তিনি।
মিলফিল্ড স্কুলে মাতা গণিত ও পিতা অর্থনীতি বিষয়ে পড়াতেন। এ বিদ্যালয়েই অধ্যয়ন করেছেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও সমারসেটের সাবেক অধিনায়ক জ্যাক মেয়ার তার পিতা-মাতার চাকুরীর সুবাদে বেতন মওকুফ করে পিটার রোবাককে ভর্তি করান।[৬] এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ইমানুয়েল কলেজে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন ও ১৯৭৭ সালে সম্মানে প্রথম-শ্রেণী লাভ করেন।[৫] তবে, সীমাবদ্ধতার কারণে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন অতিবাহিত করেননি তিনি।[৫]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
রোবাক ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। প্রায়শঃই ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফস্পিন বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। তেরো বছর বয়সে সমারসেটের দ্বিতীয় একাদশে খেলেন। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯১ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত নিয়মিতভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এরপর ডেভনের পক্ষে মাইনর কাউন্টিজে খেলেছেন তিনি।
সর্বমোট ৩৩৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৩৭.২৭ গড়ে ১৭৫৫৮ রান তুলেছেন। ৩৩টি সেঞ্চুরির মধ্যে সর্বোচ্চ করেছেন অপরাজিত ২২১। এছাড়াও ৪৯.১৬ গড়ে ৭২ উইকেট পেয়েছেন। ২৯৮টি একদিনের খেলায় অংশ নিয়ে ২৯.৮১ গড়ে ৭২৪৪ রান করেন ও ২৫.০৯ গড়ে ৫১ উইকেট লাভ করেন।[৭]
কাউন্টি ক্রিকেটে ‘রোবাক রুপার্ট’ ডাকনামে পরিচিতি পান। এসেক্সের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনকারী কিথ ফ্লেচার ভুলবশতঃ তাকে এ নামে ডেকেছিলেন।[৮] ১৯৮৮ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন।[৯]
বিতর্ক
১৯৮৬ সালে বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সমারসেটের অধিনায়কত্বের প্রথম বছর শেষে ভিভ রিচার্ডস ও জোয়েল গার্নারের সাথে কাউন্টি কর্তৃপক্ষের চুক্তি নবায়ণে বিরোধিতা করেন। অথচ, তারা দু’জনে রান ও উইকেট নিয়ে গত আট বছর দলে ব্যাপকতর সফলতা এনে দিয়েছিলেন। রোবাক ও তাঁর সমর্থকেরা একমত পোষণ করেন যে, তাঁরা বয়সের ভারে ন্যূহ ও দলের অগ্রযাত্রায় তেমন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। তাস্বত্ত্বেও পরবর্তীকালে রিচার্ডসের সম্মানার্থে প্রবেশ পথ ও দর্শক ছাউনির নামকরণ করা হয়।
অবসর
১৯৮৩ সালে সমারসেটের উত্তরণে সংবাদপত্রে ‘ইট নেভার রেইনস’ লেখেন। এরফলে ক্রীড়া লেখক হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রতিভাধর লেখকের মর্যাদা পান।[১০] খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করতে থাকেন। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, মেলবোর্নভিত্তিক দি এজ ও ইএসপিএনে লিখতে থাকেন। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় এবিসি রেডিওতে ক্রিকেটে ধারাবিবরণী দিতেন। ঐ সময় সানহেট পড়তেন সার্বক্ষণিক। এমনকি ধারাভাষ্যকারদের কক্ষেও এভাবেই থাকতেন।[১১]
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে ঘিরে তার এ লেখনিতে বেশ জাতীয়তাবাদের ছোঁয়া পড়তে শুরু করে। খেলার বিষয়ে তিনি যে-কোন মূল্য প্রদানে প্রস্তুত থাকতেন। স্বল্পকিছুসংখ্যক বিশ্বজনীন কণ্ঠস্বরের অন্যতম হিসেবে এ খেলায় কোন দেশ, দল কিংবা খেলোয়াড়ের বিপক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করেননি।[১০] মনেপ্রাণে প্রাচীনপন্থী হলেও ক্রিকেটে সর্বশেষ সাংবাদিকদের অন্যতম হিসেবে ল্যাপটপ ও মোবাইলকে দূরে সরিয়ে রাখতেন। তবে, কিছুটা সুবিধা লাভে বেশ বিস্ময় ও আশ্চর্য প্রকাশে কার্পণ্য করতেন না।[১২]
প্রায়শঃই অস্ট্রেলিয়া দলের সফলতা নিয়ে সমালোচনায় মুখরিত থাকতেন। বিশেষ করে, ২০০৭-০৮ মৌসুমে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে স্বল্প ব্যবধানে জয়ের পর অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের উপর বেশ চটে যান তিনি। অস্ট্রেলীয়দের নেতিবাচক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন ও ঝুঁকিপূর্ণ খেলার দায়ে অভিযুক্ত করেন। অস্ট্রেলীয় দলকে ‘বুনো কুকুরে পূর্ণ’ হিসেবে গণ্য করেন। তার মতে, পন্টিং খেলার কোন ভালোর জন্য বিন্দুমাত্র আগ্রহ প্রকাশ করছেন না, কৌশলের প্রয়োগ ঘটাচ্ছেন না, দলীয় সঙ্গী ও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে প্রশংসার দাবীদার হচ্ছেন না।[১৩]
জনসেবায় সম্পৃক্ততা
২০০৬ সালে পিটার রোবাক ‘লার্নিং ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট’ (এলবিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠা করেন। এর মাধ্যমে ক্রিকেটভুক্ত উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদেরকে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।[১১][১৪][১৫] ২০০৮ সালে ট্রাস্ট থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।[৫] পাশাপাশি এলবিডব্লিউ ট্রাস্টকে সহায়তাকল্পে পিটার রোবাক A$১০০,০০০ অস্ট্রেলীয় ডলার নিজের পকেট থেকে ব্যয় করে আফ্রিকান তরুণদেরকে উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।[১৬]
জিম্বাবুয়ীয় আইনজীবী সাইকোলজি মাজিউইসা রোবাকের পরামর্শক ছিলেন। শিক্ষা সম্পর্কীয় আর্থিক দিক দেখাশোনা করতেন। তার মৃত্যুতে লিখেছেন যে, মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত রোবাক ৩৫-এর অধিক জিম্বাবুয়ীয়দেরকে প্রতিপালন করতেন। আফ্রিকানদের স্বপ্নপূরণে পাঁচ লক্ষ ডলার ব্যয় করেছেন।[১৭]
ব্যক্তিগত জীবন
জীবনের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পিটারমারিৎজবার্গের স্ট্র হ্যাট ফার্মসহ সিডনির বন্ডিতে বসবাস করতেন। সেখানে তার নিজস্ব দুইটি বাড়ী ছিল।[১৮][১৯] উত্তরোত্তর ইংল্যান্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন নিজেকে।[১২][২০] তবে, মাতা ও ভাই-বোনদের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।[৫] তিনি অস্ট্রেলীয় নাগরিকত্ব লাভ করেন।[২১]
অত্যন্ত অন্তর্মূখী চরিত্রের অধিকারী হিসেবে তিনি একান্ত নিভৃতে থাকতেন ও জটিল স্বভাবের ছিলেন।[১১] প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সাথে সময় কাটানোর পর বই পড়ার দিকেই অধিক নজর দিতেন; এমনকি খাবার গ্রহণকালেও এ ধারা অব্যাহত ছিল।[২২]
দৈহিক নির্যাতন
১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ধারাভাষ্যকর্মের সাথে যুক্ত থাকাকালে ১৯ বছর বয়সী তিনজন ক্রিকেটারের সাথে স্বাক্ষাৎ হয় তার। তিনি তাদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাবনা দেন ও ইংল্যান্ডে নিজ গৃহে বসবাসের আমন্ত্রণ জানান। তবে, নিজ বাড়ীর নিয়ম-কানুন অমান্য করলে শারীরিক শাস্তিদানের সতর্কবার্তা মনে করিয়ে দেন। দূর্ব্যবহারের কারণে তিনি তিনজনেরই পাছায় বেত্রাঘাত করেন। ফলশ্রুতিতে ২০০১ সালে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হাজতবাস করতে হয় তাকে।[২০] আদালতে তিনি বলেন যে, নিশ্চিতভাবেই আমি নিয়ন্ত্রণ হারাই ও আমি ভুল করি। সে কারণে আমি তা মাথা পেতে নিয়েছি।[২৩]
রোবাকের নির্যাতনের অন্যতম শিকার হেঙ্ক লিন্ডিক বলেন যে, শুধু তাই নয়; আঘাত গুরুতর কি-না তা পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, তার বাড়ী থেকে বের হতে বাধ্য হই।[২৪] লিন্ডিক মন্তব্য করেন যে, রোবাককে আক্রমণ করার ইচ্ছা তার ছিল না ও তার মৃত্যুসংবাদ শুনে দুঃখ ভারাক্রান্ত হন।[২০]
জীবনাবসান
৭ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর উপলক্ষ্যে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (এবিসি) জন্যে প্রতিবেদন লেখার উদ্দেশ্যে আগমন করেন।[২৫]
নিউল্যান্ডসের সাউদার্ন সান হোটেলে অবস্থানকালীন ১২ নভেম্বর তারিখে সাউথ আফ্রিকান পুলিশ সার্ভিস হোটেলে প্রবেশ করে ও ২৬ বছর বয়সী জিম্বাবুয়ীয়কে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কথা বলতে চায়।[২৬][২৭] লোকটি অভিযোগ করে যে, রোবাক ফেসবুকের মাধ্যমে রোবাক তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। তাকে একটি লাঠি আনতে বলে ও প্রয়োজনে পিটাবে বলে জানায়। পূর্ব নির্ধারিত স্বাক্ষাতে রোবাক হোটেল কক্ষে আঘাত করে ও যৌন নিপীড়ন চালায়। এরফলে সে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হয়।[২৭] নিজ কক্ষে পোশাক পরিবর্তনের কথা বলে এবিসি’র ধারাভাষ্যকার জিম ম্যাক্সওয়েলের সাথে কথা বলেন ও আইনজীবীসহ হোটেলে আসার কথা জানান।[২৮]
রাত সোয়া নয়টায় সাউদার্ন সান হোটেলের ষষ্ঠ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।[২৯] হোটেলের বাইরের ছাউনিতে তিনি পতিত হন।[৩০] পরবর্তীতে মর্গে রোবাকের দেহ দেখতে যান অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট লেখক পিটার লেলর। তিনি জানান যে, মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান তিনি।[৩১] পরদিন সকালে সল্ট রিভার স্টেট সমাধিক্ষেত্রে তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।[৩১] দক্ষিণ আফ্রিকান পুলিশ লিখিত বক্তব্যে জানায় যে, রোবাক আত্মহত্যা করেছেন।[১০] তদন্তকালে এ ঘটনা ঘটেছে।[৩২]
নাটালের খামারে রোবাক প্রতি বছরের ছয় মাস অবস্থান করতেন। সেখানে বসবাসরত ছাত্ররা জানায় যে, তিনি কখনো শারীরিকভাবে নির্যাতন করেননি।[৩৩] স্ট্র হ্যাট ফার্মের স্নাতকধারী আইনজীবী জানায় যে, যৌন নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়টি পিটারের মাধ্যমে হতেই পারে না।[৩৩] জানুয়ারি, ২০১২ সালে অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক অ্যাডাম শ্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী ঐ তরুণের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন।[৩৪]
এড কাওয়ানের পরামর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন পিটার রোবাক। ক্রানব্রুক স্কুলের সাবেক শিক্ষক ছিলেন তিনি। রোবাকের মৃত্যুর এক বছর পর ১২ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে ব্রিসবেনের গাব্বায় অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টে কাওয়ান তার প্রথম সেঞ্চুরি করেন। এ সেঞ্চুরিটি রোবাকের স্মরণে উৎসর্গ করেন তিনি।[৩৫]
২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের সাবেক সহকর্মী টিম লেন ও লেখক এলিয়ট কার্টলেজ পিটার রোবাকের জীবন নিয়ে গবেষণায় অগ্রসর হন ও তার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্তে নামেন। এতে রোবাকের সাথে জড়িত ভিক মার্কস, স্টিভ ওয়াহ, ইয়ান চ্যাপেল, জোনাথন অ্যাগ্নিউ ও ম্যাথু অ্যাঞ্জেলের সাথে কথা বলেন। রোবাকের মৃত্যুর বিতর্কের মধ্যমণি ইতাই গন্ডো’রও স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের শেষদিকে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে একযোগে বইটি প্রকাশিত হয়।[৪]
তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা পল রোবাক গ্লুচেস্টারশায়ার ও গ্ল্যামারগণের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
↑"Roebuck dies aged 55"। Australian Broadcasting Corporation। ১৩ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
↑Ford-Kritzinger, Nadine (১৪ নভেম্বর ২০১১)। "Cricket suicide mystery"। The New Age। ১৭ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।