নেপালে নারীবাদ প্রাথমিকভাবে সমতা ও সুযোগের সমতার সাথে সম্পর্কিত। নেপালি সমাজ ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষতান্ত্রিক। নেপালের নারীবাদীরা এই পরিস্থিতির সমাধান করতে চায়। নেপালের অধিকাংশ নারীকে তাদের স্বামী ও পিতার নিচে একটি সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসে রাখা হয়েছে।
অতীতে নেপালি সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেপালি নারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হতো: সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার পরিসংখ্যান[১] এই বৈষম্যগুলো তুলে ধরে:
১. নারীর প্রতি সহিংসতার ৭৭ শতাংশ ঘটনা পরিবারের মধ্যে থেকে প্রতিবেদন করা হয়।
২. ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ২২ শতাংশ নারী ১৫ বছর বয়স থেকে অন্তত একবার শারীরিক সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছে।
৩. ৪৩ শতাংশ নারী কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে।
৪. প্রতি বছর ৫,০০০ থেকে ১২,০০০ মেয়ে ও নারী পাচার হয়। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং বেশিরভাগকে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বিক্রি করা হয়।
ইতিহাস
নেপালের প্রথম নারীবাদী সংগঠন ছিল নেপাল নারী সমিতি, যা মঙ্গলা দেবী সিংয়ের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল।
২০০৭ সালের আগে ৩৫ বছরের কম বয়সী নারীরা তাদের বাবা বা স্বামীর অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারতো না।
২০০৯ সালের আগস্টে, অবিবাহিত নেপালি মহিলাদের বিয়ের বিনিময়ে নগদ ৬৫০ ডলার দেওয়ার সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কাঠমান্ডুতে একটি বিক্ষোভ হয়েছিল। তারা এই পদযাত্রাকে "সরকার সমর্থিত যৌতুক" বলে অভিহিত করেছেন।
তথ্যসূত্র