নূরউদ্দীন সিকান্দর শাহ ১৪৮১ সালে সংক্ষিপ্ত সময় বাংলার সুলতান ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন
সিকান্দর পনের শতাব্দীর শাহী বাঙ্গালায় ইলিয়াস শাহী খান্দান নামে পরিচিত একটি সম্ভ্রান্ত বাঙ্গালী সুন্নি মুসলিম বংশে জন্ম নেন। তার বাবা সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমূদ শাহ বংশীয় প্রতিষ্ঠাতা শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহর বংশধর ছিলেন।[২]
শাসন
নিজ ভাতিজা শামসউদ্দীন ইঊসুফ শাহর ওফাতের বাদে, সিকান্দর শাহ ক্ষমতালাভ করেন। তবে তিনি বেশিদিন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি। ইতিহাসবিদ গোলাম হোসেন সেলিম ও নিজামউদ্দিন আহমদের মতে তিনি এক বা দুইদিনের জন্য সুলতান ছিলেন। বাংলাপিডিয়া অনুযায়ী মানসিক ভারসাম্যহীনতার জন্য তাকে সরে দাঁড়াতে হয়।[১] তবে সুলতান হিসেবে তার সময়সীমা দুই মাস পর্যন্ত ছিল হতে পারে।
ওয়ারিশ
মধ্যযুগীয় ইতিহাসের বই তাঁর সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত উল্লেখ ছাড়া বহু শতাব্দী ধরে সিকান্দর শাহ সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি। অনেক বইয়ে তাঁকে ভুলভাবে তাঁর পূর্বসূরির ছেলে হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩] হালফিল, আসামের বাক্সা জেলার মাথানগুড়িতে সুলতানী আমলের একটি দার উদ-দরব পাওয়া হয়েছে যেখানে সিকান্দর শাহের মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে। একটি মুদ্রা জার্মানি-এ সংরক্ষিত আছে এবং তিনটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা এ পাওয়া যাবে।[৪]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ এ.বি.এম শামসুদ্দীন আহমদ (২০১২)। "সিকান্দর শাহ, দ্বিতীয়"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ মোঃ রেজাউল করিম (২০১২)। "মুদ্রা"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ গোলাম হুসাইন সেলিম (১৯০৪)। "REIGN OF FATH SHAH, SON OF YUSUF SHAH"। রিয়াজু-স-সালাতিন; বাংলার ইতিহাস। মূল ফার্সি থেকে মৌলভী আব্দুস সালাম কর্তৃক অনূদিত। পৃষ্ঠা 121।
- ↑ সিনহা, সুতাপা (২০১২)। "Coin Hoard and Small Finds of the Sultans of Bengal in theCollection of Assam State Museum, Guwahati, Assam"। নিউমিসম্যাটিক ডাইজেস্ট। বম্বে নিউমিসম্যাটিক সোসাইটি। ৩৬-৩৭: ১০৩–১০৭।