নিউ আলিপুর দক্ষিণ কলকাতার একটি অঞ্চল। কলকাতা শহরতলি রেলওয়েরবজবজ শাখায় মাঝেরহাট ও টালিগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি এই অঞ্চলটির অবস্থান। নিউ আলিপুরের উত্তরসীমায় উপরিউক্ত রেলপথটি, পূর্বে বি এল সাহা রোড, পশ্চিমে ডায়মন্ড হারবার রোড ও দক্ষিণে বেহালা অবস্থিত।
ইতিহাস
কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) ১৯৫০-এর দশকে শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কথা ভেবে একটি পরিকল্পিত আবাসনিক শহরতলি হিসেবে নিউ আলিপুরের গোড়াপত্তন করে। এই অঞ্চল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এবং শহরের অন্যতম সম্ভ্রান্ত বসতাঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত মানুষ এখানে বাস করেন। নিউ আলিপুরের পূর্বভাগে অবস্থিত টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড-মহাবীরতলা দক্ষিণ কলকাতার সর্বাপেক্ষা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলির অন্যতম। এখানে অনেক পরিবহন কোম্পানির সদর অবস্থিত। কালীঘাট রেলওয়ে স্টেশনটির বর্তমানে নামকরণ করা হয়েছে নিউ আলিপুর। সাবেক কালীঘাট ফলতা রেলওয়ে (কেএফআর) উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তার যাবতীয় জমি হাসিল করে নেওয়া হয়েছে। এই রেলওয়ের ট্র্যাক বরাবর বর্তমানে জেমস লঙ সরণি ডায়মন্ড হারবার রোডের সমান্তরালে নিউ আলিপুর থেকে বেহালা হয়ে ঠাকুরপুকুর পর্যন্ত প্রসারিত। সমৃদ্ধির কারণে কলকাতা পৌরসংস্থা নিউ আলিপুরের ১০ নং বরোর ৮১ নং ওয়ার্ডটিকে মডেল ওয়ার্ড হিসাবে ঘোষণা করেছে।
নিউ আলিপুরের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র হল বি.পি.পোদ্দার হাসপাতাল।
শিক্ষা
শিক্ষায়তনগুলির মধ্যে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অফ হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং টেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাপ্ল্যায়েড নিউট্রিশন, নিউ আলিপুর কলেজ, সারদা আশ্রম বালিকা বিদ্যালয়, নিউ আলিপুর মালটিপারপাস স্কুল, সেন্ট জোসেফ অ্যান্ড মেরি স্কুল, বিদ্যাভারতী স্কুল উল্লেখযোগ্য।
বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির স্মরণে এখানে বহু রাস্তার নামকরণ করা হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য : কৃষ্ণ চন্দ্র দে সরণি , পণ্ডিত ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় সরণি , পণ্ডিত তারাপদ চক্রবর্তী সরণি , কুন্দনলাল সায়গল সরণি এবং উস্তাদ আমির খাঁ সরণি।