নাফি মাওলা ইবনে উমর

নাফি বিন সারজিস আবু আব্দুল্লাহ আদ-দাইলামি
মৃত্যুপ্রায় ৭৩৫ অথবা ৭৩৬
মদিনা, সৌদি আরব
যুগরাশিদুন-উমাইয়া
পেশা
আন্দোলনতাবেয়ী
লক্ষণীয় কাজGolden chain of narrations in Hadith
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন

নাফি বিন সারজিস আবু আবদুল্লাহ আদ-দাইলামি (আরবি: نافع بن سارجيس أبو عبد الله الديلمي নাফি’ মাওলা ইবনে উমর (আরবি: نافع مولى بن عمر) নামেও পরিচিত), মদীনায় বসবাসকারী তাবেয়ী প্রজন্মের একজন ফিকহ আইনবিদ এবং মুহাদ্দিছ ছিলেন।[]

জীবনী

নাফি মূলত দায়লামের (বর্তমানে ইরানের গিলান অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত) বাসিন্দা ছিলেন যিনি মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের সময় বন্দী হয়েছিলেন এবং আবদুল্লাহ ইবনে উমর কর্তৃক প্রতারিত হওয়ার আগে তিনি ক্রীতদাস হয়েছিলেন।[][] তিনি নবীর সাহাবীদের কাছ থেকে এবং বিশেষ করে আবদুল্লাহ বিন উমর এবং আবু সাঈদ আল-খুদরি থেকে ধর্ম অধ্যয়ন করেন।[]

তিনি ইবনে শিহাব আল-জুহরি, আইয়ুব আস-সাখতিয়ানি এবং মালিক ইবনে আনাসের মতো বিশিষ্ট পণ্ডিতদের শিক্ষক হয়েছিলেন।[]

তিনি উমর ইবনে আবদুল আজিজের খিলাফতকালে মুফতি হয়েছিলেন এবং খলিফা তাকে মিশরের জনগণকে ইসলাম শেখানোর জন্য পাঠিয়েছিলেন।[]

হাদিস বর্ণনার স্বর্ণশৃঙখল

মুহাম্মাদ আল-বুখারি সহ উল্লেখযোগ্য হাদিস পন্ডিতরা মালিকের বর্ণনাকারীদের শৃঙ্খলটিকে সবচেয়ে প্রামাণিক বলে মনে করেন এবং সিলসিলাত আল-ধাহাব বা "বর্ণনাকারীদের স্বর্ণশৃঙখল" বলা হয়।[] বর্ণনার স্বর্ণশৃঙখল (অর্থাৎ, হাদীসের পন্ডিতদের দ্বারা সবচেয়ে প্রামাণ্য বলে মনে করা হয়েছে) মালিককে নিয়ে গঠিত, যিনি নাফি' মাওলা ইবনে উমর থেকে বর্ণনা করেছেন, যিনি আবার ইবনে উমর থেকে বর্ণনা করেছেন, উমর বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ থেকে।[]

মালিক এমনকি এ-ও বলেছেন যে : "যদি আমি নাফির ইবনে উমরের বর্ণনা শুনি, তবে আমি তা অন্য কারো কাছ থেকে না শুনলে আমি পরোয়া করতাম না (যেহেতু এটি নিঃসন্দেহে সহীহ)।"

ইমাম বুখারী, ইবনে হাজার আসক্বালানী এবং আবু আলী আল-খলিলের মতো পণ্ডিতদের নাফি কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের সত্যতা সম্পর্কে উচ্চ আস্থা রয়েছে। সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিমে নাফি কর্তৃক বর্ণিত বিভিন্ন বিষয়ে কমপক্ষে ১৮৮টি হাদিস রয়েছে।[]

হাদীসের আধুনিক গবেষকরা রিজাল শাস্ত্রের (বর্ণনাকারীদের জীবনী মূল্যায়ন) ইবনে হাজার আল-আসকালানীর পদ্ধতি ব্যবহার করে নাফি ধারা থেকে বর্ণিত হাদীসগুলিকে প্রামাণিক বলে প্রমাণ করেছেন।[] জিয়েভ মাগেন বলেছেন নাফি বর্ণনার সত্যতা ছিল "প্রায় পিয়ারলেস",[] অন্যদিকে অধ্যাপক বাশার আওয়াদ, তিরমিজি সংগ্রহের সম্পাদক,[] এবং বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার বিজয়ী,[] ও উল্লেখ করেছেন নাফির স্বর্ণশৃঙ্ক্ষল সাহাবাকে অন্য তাবেয়ী দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল।[]

মৃত্যু

নাফি ১১৭ হিজরিতে (৭৩৫-৬ খ্রিস্টাব্দে) মারা গেছেন বলে অনুমান করা হয়, যদিও অন্যান্য ইতিহাসবিদরা বলেছেন যে তিনি ১২০ হিজরিতে মারা গিয়েছেন।[]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Khallikan 1843
  2. Al-Indunisi 2008
  3. Sallabi 2017
  4. ""Imaam Maalik ibn Anas" by Hassan Ahmad, 'Al Jumuah' Magazine Volume 11 – Issue 9"Sunnahonline.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৪-১০ 
  5. Ibn Anas 2008
  6. Wahid 2017
  7. Maghen 2012
  8. Abu Alabas 2020
  9. Ma'rouf 2018

Strategi Solo vs Squad di Free Fire: Cara Menang Mudah!