এই নিবন্ধটি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়নি বরং একজন ভক্তের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে এই নিবন্ধটিকে পরিষ্করণ করে পুনঃলিখনের মাধ্যমে এর মানোন্নয়ন করুন এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তথ্যসমূহ উল্লেখ করুন।(জানুয়ারি ২০২২)
ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মুকাররম মডেল কামিল মাদ্রাসারংপুর বিভাগেররংপুর জেলার একটি আলিয়া মাদ্রাসা।[১][২] মাদ্রাসাটি ১৯৮২ইং সালে স্থাপিত হয়।[৩] মাদ্রাসাটি লেখাপড়ার মান, অবকাঠামো, বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল এর ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে ২০০৩ ও ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসার গৌরব অর্জন করে।[৪][৫][৬]
প্রতিবছর মাদ্রাসাটি বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় শতভাগ পাশসহ ‘শীর্ষ দশ’ এর মধ্যে থাকে।[৭] ২০১৩ সালে এবতেদায়ি সমাপনি পরীক্ষায় সমগ্র দেশের মধ্যে ১৯তম স্থান, জেডেসি পরীক্ষায় ৫ম স্থান, দাখিল পরীক্ষায় ১১তম স্থান, আলিম পরীক্ষায় ৪র্থ স্থান অর্জন করে। ২০১৪ সালে জেডেসি পরীক্ষায় দেশের মধ্যে ৫ম স্থান, দাখিল পরীক্ষায় ৮ম স্থান এবং আলিম পরীক্ষায় ৯ম স্থান অর্জন করে।[৮][৯][১০] ২০০৩ সালে মাদ্রাসাটি লেখাপড়ার মান, অবকাঠামো, বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল এর ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসার গৌরব অর্জন করে।[৪]
প্রতিষ্ঠাতা
মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠায় ডাঃসালামতুল্লাহ চৌধুরী(সাবেক সভাপতি) অবদান ছিল। বর্তমান সভাপতি ডাঃসালামতুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র ডাঃআকতার হোসেন চৌধুরী [১১]
মাদ্রাসাটি ১ জানুয়ারী, ১৯৮২ সালে খলিফাপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন টিনসেডে একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা হিসাবে শুরু হয়েছিল। পরে ডাঃ সালামতুল্লাহ চৌধুরীর উদ্দোগে দাখিল পর্যায়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। মাদ্রাসাটি অল্প কয়েক বছরের মধ্যে আলিম, ফাযিল, কামিলসহ দু’ বিষয়ে অনার্স শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়, যা মাদ্রাসা বোর্ড ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল। মাদ্রাসাটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সাল হচ্ছে-ইবতেদায়ী (১৯৮২), দাখিল (১৯৮৯), দাখিল বিজ্ঞান (১৯৯৩) আলিম (১৯৯৪), ফাযিল (১৯৯৬), আলিম বিজ্ঞান (১৯৯৭), কামিল হাদীস ও তাফসীর বিভাগ (২০০১), কামিল আদব ও ফিকহ বিভাগ (২০০৩) এবং অনার্স আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ এবং আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ (২০১০)।[৪][১৫]
মাদ্রাসার ভৌতিক অবকাঠামো, লেখাপাড়ার মান, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য সরকার মাদ্রাসাটিকে ২০০৭ সালে মডেল মাদ্রাসা হিসাবে নির্বাচিত করেছিল।[১৬]
জমির পরিমাণ
মাদ্রাসাটি রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডে ১.৮৮ একর জমির উপর স্থাপিত। মাদ্রাসা চত্তর আছে-১.৩৬ একর এবং ছাত্রাবাস আছে-০.৫২ একর।[৪]
ভবনের বিবরণ
মাদ্রাসাটিতে ৫টি ভবন আছে-
প্রশাসনিক ভবন-১টি চারতলা।
একাডেমিক ভবন-২টি তিন তলা, ও ১টি চার তলা।
ছাত্রাবাস ভবন-১টি তৃতল, ৪৯টি কক্ষে অবস্থানরত ছাত্র সংখ্যাঃ ১৮০জন।
২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর “আলোর দিশারী” নামে একটি ম্যাগাজিন বের হয়। এখানে প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, ছড়া, রম্যরচনা ইত্যাদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পাদিত হয়।[১৮]
শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংখ্যা
মাদ্রাসায় ৪৪ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মচারী এবং ২৮৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে।
পোশাক
ছাত্রের জন্য সাদা পায়জামা, পাঞ্জাবি, টুপি ও জুতা এবং মেয়েদের কালো বোরখা ও সাদা ওড়না। আইডি কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড
মাদাসার অনেক ছাত্র-ছাত্রী জাতীয় পর্যায়ে রচনা, ইসলামি সংগিত, কেরাত ও খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
তথ্যসূত্র
↑"রংপুর জেলা"। www.rangpur.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-২৭।
↑শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪, জাতীয় (১৩ জুন ২০২৪)। "জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এর বিজয়ী তালিকা"(পিডিএফ)। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা। Archived from the original on ২৯ জুন ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২৪।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)