দেবযানী ঘোষ (জন্ম: ৩০ অক্টোবর, ১৯৮৮) হলেন উলম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গবেষক। বর্তমানে তিনি বৈদ্যুতিক বিমানের শূন্য নির্গমনের একটি নতুন হাইব্রিড পদ্ধতি তৈরি করার বিষয়ে গবেষণা করছেন। তিনি এইচওয়াই৪ বিমানের পরবর্তী প্রজন্মের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনা নিয়েও কাজ করছেন।[১] তিনি জার্মানির উলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইলেকট্রন বিজ্ঞানের একজন সহকারী প্রভাষক।[২] বাংলাদেশে মৌলিক গবেষণা খুবই বিরল হওয়ায় তার গবেষণার কাজটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা প্রথম আলোতে প্রশংসিত হয়েছে।[৩]
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
তিনি ১৯৮৮ সালের ৩০ অক্টোবর দীপক কুমার ঘোষ এবং ইন্দিরা ঘোষের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অপর্ণাচরণ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে পড়াশোনা করেছেন। তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও বৈদ্যুতিন প্রকৌশলে স্নাতক এবং আরডাব্লিউটিএইচ আচেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্ষমতা প্রকৌশলে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবন
তিনি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর জার্মানিতে গিয়ে ইনফাইনন টেকনোলজিসে ইন্টার্নশিপ করেন। প্রথম থেকেই তার উদ্দেশ্য ছিল পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে কাজ করা। তাই আরডাব্লিউটিএইচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করার পর তিনি এইচওয়াই৪ প্রকল্পের গবেষণা দলে যোগ দেন। এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক হলেন জোসেফ কালো।[৪]
২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, এইচওয়াই৪ বিমানটি স্টুটগার্ট বিমানবন্দর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথমবার উড্ডয়ন করে।[৫] এইচওয়াই৪ হলো বিশ্বের প্রথম চার-আসনের যাত্রীবাহী বিমান, যা শুধুমাত্র হাইড্রোজেন জ্বালানী কোষ পদ্ধতি দ্বারা চালিত। জার্মানির স্টুটগার্ট বিমানবন্দরে সেদিন একটি চার-আসনের যাত্রীবাহী বিমানের সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন হয়। এই গবেষণা দলের সদস্য হওয়ায় তিনি বিশ্বের বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠেন।
তিনি জার্মান প্রবাস নামে একটি ওয়েব পোর্টাল চালান।[৬] তিনি জার্মান প্রবাসের একজন সহ-সভাপতি (সংস্কৃতি) ও সম্পাদক।[৭] এই পোর্টালটি ২০১৬ সালে ডয়চে ভেলের দ্য ববস পুরস্কার জিতেছে।[৮]
তথ্যসূত্র