বর্তমানে দৃশ্যকলা বলতে চারুশিল্পের পাশাপাশি অলঙ্করণ ও কারুশিল্প বোঝালেও আগে তেমন ছিলোনা। ব্রিটেনে আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস আন্দোলনের আগে এবং অন্যত্র ২০ শতকে 'শিল্পী' বা 'আর্টিস্ট' শব্দটি কেবল তাদের জন্য বলা হতো যারা চারুকলা চর্চা করতেন (যেমন চিত্রকলা, ভাস্কর্য বা প্রিন্ট তৈরি); হস্তশিল্প, কারুশিল্প বা ব্যবহারিক শিল্পমাধ্যম এর অন্তর্ভুক্ত করা হতো না। আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস আন্দোলনের শিল্পীরা এই বিভাজনের দিকে মনোযোগ দেন কারণ তারা দেশজ শিল্পকে উচ্চমার্গের শিল্পের মতোই মূল্যায়ন করতেন।[৩] আর্ট স্কুলগুলোতে চারু ও কারুশিল্পের মধ্যে এ বিভাজনটা রাখা হতো এবং কারুশিল্পীকে শিল্পসাধক বলে মনে করা হতো না।
চিত্রকর্ম এবং তারপর ভাস্কর্যকে অন্য সব শিল্পের ওপরে স্থান দেয়ার প্রবণতাটা পশ্চিমা ও পূর্ব এশীয় শিল্পকলার বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় অঞ্চলেই চিত্রকলাকে ভাবা হয় শিল্পীর সবচেয়ে উঁচুমার্গের কল্পনার শিল্প, এবং তা দৈহিক শ্রম থেকে সবচেয়ে দূরে। চীনা চিত্রকলায় সর্বোচ্চ মূল্যায়িত শৈলী হলো "বিদগ্ধ-চিত্রকলা", অন্তত শৌখিন শিল্পীদের মতে। পাশ্চাত্যে শিল্পের মর্যাদাক্রমের ধারণাতেও অনুরূপ মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।