দুর্গা জসরাজ |
---|
জন্ম | (1966-09-12) ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ (বয়স ৫৮)
|
---|
দুর্গা জসরাজ (জন্ম: ১২ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৬) হলেন একজন ভারতীয় মূল উপাদান নির্মাতা। তিনি একাধিক মিডিয়ার বিন্যাসে, যেমন: লাইভ, টেলিভিশন, অনলাইন, মোবাইল ভিএএস, রেডিও, সিডি/ ডিভিডি ইত্যাদি বিষয়ে দেশীয় উপাদান তৈরিতে মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে একটি বিনোদনমূলক প্রোগ্রামিং সংস্থা "আর্ট অ্যান্ড আর্টিস্টস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড" প্রতিষ্ঠা করেছেন। পরবর্তীকালে তিনি ২০০৬ সালে ভারতীয় সংগীত একাডেমির (আইএমএ) সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১][২]
প্রারম্ভিক জীবন
জসরাজ ১৯৬৬ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে শাস্ত্রীয় কণ্ঠশিল্পী পণ্ডিত জসরাজ এবং মধুরা পণ্ডিতের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৩] তাঁর এক বড় ভাই রয়েছে, যাঁর নাম শারঙ্গ দেব, তিনি একজন সংগীত পরিচালক। তাঁর নানা ছিলেন বলিউডের পরিচালক ভি. শান্তারাম।[৪]
পেশা
জসরাজ মাত্র সাত বছর বয়সে একজন ধ্রুপদী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তাঁর পেশা জীবন শুরু করেছিলেন।[৫] ১৯৯৩ সালে, কেতন আনন্দের আজা মেরি জান এ অভিনয় করার মাধ্যমে তিনি অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন। অতঃপর তিনি চন্দ্রকান্ত (১৯৯৪) এবং মহাভারতের (১৯৮৮) মতো টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।[৬] তিনি একজন হিন্দুস্তানী ধ্রুপদী গায়িকা হিসেবে তাঁর বাবার সাথে বেশ কয়েক বছর ধরে সংগীত পরিবেশন করেছিলেন।
১৯৯০-এর দশকে তিনি জি টিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান, অন্তাক্ষরীতে অনু কাপুরের সাথে উপস্থাপনা করেছেন।[৫] অনুষ্ঠানটিতে বেশ কয়েকদিন কাজ করার পর, তিনি আর্ট অ্যান্ড আর্টিস্টস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড নামক সংস্থাটি শুরু করার জন্য ছেড়ে দেন।
১৯৯০-এর দশকে তিনি জি টিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান, অন্তাক্ষরীতে অনু কাপুরের সাথে উপস্থাপনা করেছেন। এতে বেশ কয়েকদিন কাজ করার পর, তিনি আর্ট অ্যান্ড আর্টিস্টস (আই) প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি শুরু করার জন্য অনুষ্ঠানটি ছেড়ে দেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভারতীয় সংগীত একাডেমি
২০০৬ সালে, তিনি ভারতীয় সংগীত একাডেমি (আইএমএ) সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন,[৫][৭] এখানে তাঁর পিতা প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ছিলেন। এই সংস্থা ভারতীয় সংগীতের বিভিন্ন রূপকে প্রচার করে। ২০০৬ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে, মুম্বইয়ের 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস'-এ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের দ্বারা এই একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিল।[৮]
আইএমএ পুরানো এবং অসুস্থ সংগীতশিল্পীদের জরুরি চিকিৎসায় সহায়তা করে।[৩] এই একাডেমী হতে প্রতি বছর আইএমএ পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০০৭ সালে, উক্ত বার্ষিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার প্রদান করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম। পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে কর্ণাটকী সংগীতশিল্পী বালামুরলীকৃষ্ণ, নেপথ্য সংগীত শিল্পী আশা ভোঁসলে, সংগীত রচয়িতা ইলাইয়ারাজা, হিন্দুস্তানী ধ্রুপদী গায়ক গিরিজা দেবী এবং সরোদ বাদক আলী আকবর খান অন্যতম ছিলেন।[৯]
আইএমএ আইডিয়া জলসা লাইভ কনসার্ট নামে ভারত জুড়ে ৫০টিরও বেশি শহরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে; যার মধ্যে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত কনসার্টটি প্রায় ৭ কোটি (৭০ মিলিয়ন) দর্শক দেখেছেন।[১০][১১] দুর্গা "তিরঙ্গা" নামে একটি কাজ পরিচালনা করেছিলেন, যা সারা বিশ্ব জুড়ে ভ্রমণ করেছিল।[১২] তিনি ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের বোর্ড সদস্য হিসাবে এক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ব্যক্তিগত জীবন
দুর্গা জসরাজ মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং ২১ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।[১] উক্ত সংসারে তাঁর একটি মেয়ে রয়েছে।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ