দি বেঙ্গলি ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত একটি সংবাদপত্র। এটি ১৮৬২ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় পত্রিকাটির প্রথম সম্পাদক ছিলেন।
ইতিহাস
১৮৬২ সালে গিরিশচন্দ্র ঘোষ কলকাতায় ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র হিসাবে দি বেঙ্গলি প্রতিষ্ঠা করেন। দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীকালে এটি সাপ্তাহিকীতে পরিণত হয়। ১৯৩১ সালে ক্যালকাটা ইভিনিং নিউজ নামে পত্রিকাটির শহর কেন্দ্রীক সান্ধ্যকালীন সংখ্যা বের করা শুরু হয় তবে মফস্বল সংখ্যা দি বেঙ্গলি নামেই তার পরিচিত ছিল। এ দুধরনের সংখ্যা ১৯৩২ সাল থেকে একত্রিত হয়ে একটি পত্রিকায় পরিনত হয় এবং নতুন নাম রাখা হয় স্টার অব ইন্ডিয়া।[১]
প্রকাশনার শুরু থেকেই দি বেঙ্গলি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অ্যাংলো-ভারতীয় সম্প্রদায়ের বাড়াবাড়ি, ইলবার্ট বিল, জাতিগত সমাজসমূহের সংরক্ষণ, ভূমিসন্বন্ধীয় সম্পর্কাবলি, দুর্ভিক্ষ ও সমকালীন সামাজিক আন্দোলনসমূহ সম্পর্কে এর সুস্পষ্ট মতামত ঐ সময়কার জনমতকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করে।[১] সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী এর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এটি ১৯শ শতকের শেষের দিকে এবং ২০শ শতকের গোড়ার দিকে সর্বাধিক প্রচারিত সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ছিল। কিন্তু সুরাট সম্মেলনের (১৯০৭) পর কংগ্রেসে ভাঙ্গন সৃষ্টি হলে পত্রিকাটি বিভক্ত কংগ্রেসের মধ্যপন্থীদের সমর্থন করে। কাগজটি স্বদেশী আন্দোলনের মতো আন্দোলনের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা নীতি গ্রহণ করে ফলে সংবাদপত্রের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। ১৯২৫ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে সংবাদপত্রের প্রচার আরও কমে যায়। ১৯৩১ সালে পত্রিকাটি দুটি সংস্করণে বিকশিত হয়, সকালের সংস্করণটিকে দ্য বেঙ্গালি বলা হতো, এটি মহানগরী অঞ্চলের জন্য প্রকাশিত হতো, আর গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য ক্যালকাটা ইভিনিং নিউজ নামে সান্ধ্য সংস্করণ প্রকাশিত হতো। শেষ পর্যন্ত দি বেঙ্গলি পত্রিকাটি সেই বছরই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৩২ সালে দুটি সংস্করণকে একীভূত করা হয় এবং দি স্টার অব ইন্ডিয়া নামকরণ করা হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "বেঙ্গলি, দি"। বাংলাপিডিয়া। ৫ মে ২০১৪। ১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০২০।