দার্শনিক হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি জ্ঞানের অন্তর্নিহিত ভিত্তি, প্রকৃতি এবং সীমাবদ্ধতা, সত্য, বাস্তবতা, নৈতিকতা, চেতনা, ভাষা এবং যুক্তি সম্পর্কে প্রশ্নের সাথে যুক্ত একটি শাখা অধ্যয়ন করেন, যাকে দর্শন বলা হয়। দার্শনিকরা সাধারণত এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে পেতে যুক্তি, যুক্তি এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করেন।
দর্শনের অনেকগুলি বিভিন্ন শাখা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
নৈতিকতা: ভাল এবং মন্দের প্রকৃতি, এবং সত্য এবং ন্যায়পরায়ণতার মানদণ্ড।
জ্ঞানতত্ত্ব: জ্ঞানের প্রকৃতি এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অধ্যয়ন।
ভাষাতত্ত্ব: ভাষার প্রকৃতি এবং অর্থ সম্পর্কে অধ্যয়ন।
সমাজবিজ্ঞান: সমাজ এবং সামাজিক আচরণের প্রকৃতি সম্পর্কে অধ্যয়ন।
রাজনৈতিক দর্শন: সরকার এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রকৃতি সম্পর্কে অধ্যয়ন।
প্রাকৃতিক দর্শন: বিশ্বের প্রকৃতি এবং এর অন্তর্নিহিত নীতি সম্পর্কে অধ্যয়ন।
ধর্মতত্ত্ব: ধর্মের প্রকৃতি এবং এর ভূমিকা সম্পর্কে অধ্যয়ন।
দার্শনিকরা প্রায়শই তাদের কাজের জন্য সমালোচিত হন, কারণ তারা প্রায়শই ঐতিহ্যগত ধারণাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং নতুন ধারণা প্রদান করেন। যাইহোক, দার্শনিকরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, কারণ তারা আমাদের চিন্তাভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং আমাদের বিশ্বকে নতুনভাবে দেখতে সাহায্য করে
এখানে কিছু বিখ্যাত দার্শনিকের নাম দেওয়া হল:Socratic
Socrates (470-399 খ্রিস্টপূর্বাব্দ): তিনি " পদ্ধতি" নামে পরিচিত একটি পদ্ধতি বিকাশ করেছিলেন যা প্রশ্নের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের উপর ভিত্তি করে ছিল।
Plato (428-348 খ্রিস্টপূর্বাব্দ): তিনি "আকাডেমি" নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা প্রাচীন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল।
Aristotle (384-322 খ্রিস্টপূর্বাব্দ): তিনি "পলিটিক্স" এবং "মেটাফিজিক্স" নামে দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
Saint Augustine (354-430 খ্রিস্টাব্দ): তিনি "Confessions" নামে একটি বিখ্যাত আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন।
René Descartes (1596-1650): তিনি "Cogito, ergo sum" ("আমি চিন্তা করি, সুতরাং আমি আছি") নামে একটি বিখ্যাত উক্তি দিয়েছিলেন।
John Locke (1632-1704): তিনি "Two Treatises of Government" নামে একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রভাব ফেলেছিল।
Immanuel Kant (1724-1804): তিনি "Critique of Pure Reason" নামে একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যা আধুনিক দার্শনিক চিন্তার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
Friedrich Nietzsche (1844-1900): তিনি "Thus Spoke Zarathustra" নামে একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যা আধুনিক জীবনের সমালোচনা করে।
Simone de Beauvoir (1908-1986): তিনি "The Second Sex" নামে একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যা নারীবাদী দর্শনের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
দার্শনিকরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, কারণ তারা আমাদের চিন্তাভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং আমাদের বিশ্বকে নতুনভাবে দেখতে সাহায্য করে। দার্শনিকদের কাজ আমাদেরকে আমাদের চারপাশের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং আমাদের জীবনে আরও সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।