দারিনের চুক্তি যুক্তরাজ্য ও নজদের শাসক আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের (ইবনে সৌদ নামেও পরিচিত) মধ্যে ১৯১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। ইবনে সৌদ ১৯৩২ সালে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর
১৯১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর আবদুল আজিজ ও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে স্যার পারসি কক্স পারস্য উপসাগরের দারিন দ্বীপে (তারুত দ্বীপ বলেও পরিচিত) এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।[১][২]
শর্ত
চুক্তির মাধ্যমে সৌদ পরিবারের অঞ্চলসমূহ ব্রিটিশ আশ্রিত রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হয়। চুক্তিতে ব্রিটিশদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে কুয়েত, কাতার ও চুক্তিভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়।[৩] আবদুল আজিজ এসকল ব্রিটিশ আশ্রিত রাষ্ট্র হামলা না করার ব্যাপারে রাজি হন। তবে তিনি মক্কার শরিফকে আক্রমণ না করার ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি।[৪] এছাড়াও নজদ ও হাসা আমিরাত ব্রিটিশ পক্ষে বিশ্বযুদ্ধে যোগদানে সম্মত হয়।[২]
গুরুত্ব
এই চুক্তির মাধ্যমে সর্বপ্রথম নতুন সৌদি রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেসাথে নজদের ইতিহাসের প্রথমবার আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারিত হয়।[৩] এছাড়াও চুক্তিতে ব্রিটিশরা তাদের উপসাগরীয় অঞ্চলের আশ্রিত রাষ্ট্রসমূহকে রক্ষা করতে চাইলেও এই চুক্তি পার্শ্ববর্তী এলাকায় সৌদি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়।[৩] পরবর্তীতে জেদ্দার চুক্তি (১৯২৭) এর স্থলাভিষিক্ত হয়।
তথ্যসূত্র