দক্ষিণ এশীয় গেমস (ইংরেজি: South Asian Games, SA Games) চার-বার্ষিকভিত্তিতে প্রবর্তিত বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ারক্রীড়াবিদগণ অংশগ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু মাঝেমাঝেই এটি অনিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ এশীয় ক্রীড়া সংস্থা গঠন করা হয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক সর্বপ্রথম এ প্রতিযোগিতাটি ১৯৮৪ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সাল পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতার পূর্বেকার নাম ছিল দক্ষিণ এশীয় ফেডারেশন গেমস বা সাফ গেমস। এ সংস্থার বর্তমান সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ৮। সার্কভূক্ত নতুন সদস্য দেশ হিসেবে আফগানিস্তান এ পর্যন্ত দু'টি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা একাদশ প্রতিযোগিতার সবগুলোতেই অংশগ্রহণ করেছে। প্রায়শঃই এ প্রতিযোগিতাকে অলিম্পিক গেমসের এশীয় সংস্করণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
ইতিহাস
১৯৮৪ সালে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রথম দক্ষিণ এশীয় গেমস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রতি দুই বছর অন্তর নিয়মিতভাবে প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা থাকলেও মাঝে মাঝেই তা কক্ষচ্যুত হয়। এ সময় প্রতিযোগিতার নাম ছিল দক্ষিণ এশীয় ফেডারেশন গেমস বা সাফ গেমস। কিন্তু ২০০৪ সালে সংস্থার পরিচালনা পরিষদের ৩২তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আনুষ্ঠানিকভাবে ফেডারেশন শব্দটি বাদ দেয়া হয়। প্রতিযোগিতার গুরুত্ব ও দর্শক আকৃষ্টতার বিষয়টি চিন্তা করেই তা করা হয়েছিল।[১]
প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই ফুটবল খেলাটি দক্ষিণ এশীয় গেমসে অন্তর্ভুক্ত ছিল।[২]বাংলাদেশেররাজধানীঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ সালের প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো প্রমিলা ফুটবল খেলা বিষয়টি স্থান পায়।[৩]