থিউনিস ডি ব্রুন
|
পূর্ণ নাম | থিউনিস বুসেন ডি ব্রুন |
---|
জন্ম | (1992-10-08) ৮ অক্টোবর ১৯৯২ (বয়স ৩২) প্রিটোরিয়া, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
ডাকনাম | ট্রাইবস |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট |
---|
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৩০) | ২৫ মার্চ ২০১৭ বনাম নিউজিল্যান্ড |
---|
শেষ টেস্ট | ১৯ অক্টোবর ২০১৯ বনাম ভারত |
---|
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৬৫) | ২০ জানুয়ারি ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা |
---|
শেষ টি২০আই | ২২ জানুয়ারি ২০১৭ বনাম শ্রীলঙ্কা |
---|
|
---|
|
বছর | দল |
২০১৪ - ২০১৬ | নর্দার্নস |
---|
২০১৪ - ২০১৬ | টাইটান্স |
---|
২০১৬ - বর্তমান | নাইটস |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
টি২০আই |
এফসি |
এলএ |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
৮ |
২ |
৬০ |
৪০ |
রানের সংখ্যা |
২৯০ |
২৬ |
৪,৩১৭ |
১,২৩৯ |
ব্যাটিং গড় |
১৯.৩৩ |
১৩.০০ |
৪৫.৯২ |
৩৮.৭১ |
১০০/৫০ |
১/০ |
০/০ |
১২/১৯ |
৩/৬ |
সর্বোচ্চ রান |
১০১ |
১৯ |
২০২* |
১৫২* |
বল করেছে |
১০২ |
– |
৭৫৬ |
১৬২ |
উইকেট |
০ |
– |
১১ |
৩ |
বোলিং গড় |
– |
– |
৩৮.৮১ |
৪৩.৬৬ |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
– |
– |
০ |
০ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
– |
– |
০ |
০ |
সেরা বোলিং |
– |
– |
২/২৪ |
২/৩৭ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
৮/– |
২/– |
৫৬/– |
১৫/– | |
|
---|
|
থিউনিস বুসেন ডি ব্রুন (ইংরেজি: Theunis de Bruyn; জন্ম: ৮ অক্টোবর, ১৯৯২) ট্রান্সভাল প্রদেশের প্রিটোরিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাইটস, নর্দার্নস ও টাইটান্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন। এছাড়াও, ‘ট্রাইবস’ ডাকনামে পরিচিত থিউনিস ডি ব্রুন ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী।
শৈশবকাল
মেনলোপার্ক হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। গ্রেইম স্মিথ পরবর্তী যুগে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল মারকুটে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এছাড়াও, তিনি কার্যকর সিম বোলার হিসেবে খেলছেন।
বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি তার সহজাত প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটান। ২০১০ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় তিনি সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। এ পর্যায়ে নর্দার্নসের সদস্যরূপে ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে ২৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১২ সালের বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেন। কুইন্টন ডি ককের সাথে তারও এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ছিল। ঐ প্রতিযোগিতায় দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন তিনি।
কোমড়ে তার শৈল্যপচার ঘটাতে হয়। এরফলে দুই বছর খেলার জগৎ থেকে দূরে থাকলেও দক্ষতাকে ভুলে যাননি তিনি। কোন প্রাদেশিক দলের পক্ষে না খেললেও টাইটান্স দলের পক্ষে টি২০ খেলায় অভিষেক ঘটে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় দল টাকসের পক্ষে খেলেন। ক্যাম্পাস ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড ফাইনালস প্রতিযোগিতায় তিনি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। এ প্রতিযোগিতায়ও তিনি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
২০১৪ সাল থেকে থিউনিস ডি ব্রুনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। প্রাদেশিক দলের পক্ষে মাত্র চারটি খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই প্রথম-শ্রেণীর বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে। এরপর থেকেই সকল স্তরের ক্রিকেটে নিজেকে টাইটান্সের অন্যতম বিশ্বস্ত খেলোয়াড় হিসেবে উপস্থাপন করেন।
২০১৪-১৫ মৌসুমে একদিনের শিরোপা বিজয়ে দলের রান সংগ্রাহকদের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করেন। পরের মৌসুমে ২০-ওভারের প্রতিযোগিতায় দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও প্রথম-শ্রেণীর প্রতিযোগিতায় ৩৭.৬২ গড়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তুলেন। তার এ ধারাবাহিক রান সংগ্রহের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
১৯ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তৃতীয় দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্রুততম সময়ে সহস্র রান সংগ্রহ করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। এরজন্যে তাকে ২০ ইনিংস ব্যাটিং করতে হয়েছে।[১] ২০১৫ সালের টি২০ কাপ প্রতিযোগিতায় নর্দার্নস ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[২]
দল পরিবর্তন
২০১৬-১৭ মৌসুমে দল পরিবর্তন করে নাইটসে চলে যান ও দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। আগস্ট, ২০১৭ সালে টি২০ গ্লোবাল লীগের উদ্বোধনী আসরে ব্লোম সিটি ব্লেজার্সের পক্ষে খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।[৩] তবে, অক্টোবর, ২০১৭ সালে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ নভেম্বর, ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঐ প্রতিযোগিতাটি স্থগিত করে। পরবর্তীতে, এটি বাতিল হয়ে যায়।[৪]
জুন, ২০১৮ সালে টাইটান্সের পক্ষে ২০১৮-১৯ মৌসুমে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[৫] সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সালে আবুধাবি টি২০ ট্রফি প্রতিযোগিতায় টাইটান্সের সদস্য ছিলেন।[৬] অক্টোবর, ২০১৮ সালে সিএসএ ফোর-ডে ফ্রাঞ্চাইজ সিরিজের ২০১৮-১৯ মৌসুম চলাকালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে চার হাজার রান সংগ্রহের মাইলফলক স্পর্শ করেন।[৭]
অক্টোবর, ২০১৮ সালে মজানসি সুপার লীগ টি২০ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরে তশন স্পার্তানসের সদস্য হন।[৮][৯] ২০১৮-১৯ মৌসুমের সিএসএ টি২০ চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় সাত খেলায় ৩৪৮ রান তুলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন।[১০]
২০১৮ সালে সারে দলে বিরাট কোহলি’র অংশগ্রহণে প্রাচীর গড়ে তুলেন। স্বল্প সময়ে ঐ কাউন্টি দলে অবিশ্বাস্যভাবে কোহলিকে দলের বাইরে রাখতে ভূমিকা রাখেন। ঐ সময়ে থিউনিস ডি ব্রুন মাত্র পাঁচ টেস্টে অংশ নিয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেছিলেন মাত্র ৪৮।
সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সালে তসন স্পার্তানসের পক্ষে মজানসি সুপার লীগ প্রতিযোগিতায় খেলার জন্যে তাকে পুনরায় দলে রাখা হয়।[১১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এ পর্যন্ত বারোটি টেস্ট ও দুইটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন থিউনিস ডি ব্রুন। ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে হ্যামিল্টনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে রাঁচিতে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে এখনো কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১২] ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে একই দলের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার সদস্যরূপে টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে তার।[১৩] ২০১৬-১৭ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড গমনার্থে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্য করা হয়। ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[১৪]
ইংল্যান্ড গমন
জুলাই, ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজে খেলার উদ্দেশ্যে তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪৯ রান সংগ্রহ করেন তিনি। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ৪৮ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। ঐ খেলায় তার দল ২১১ রানে পরাভূত হয়।[১৫]
পরের টেস্টে তাকে খেলানো হয়নি। তার পরিবর্তে ভার্নন ফিল্যান্ডারকে স্থলাভিষিক্ত করা হয় ও চূড়ান্ত টেস্টে পিঠের সমস্যায় নিপতিত হন। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। জুলাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। ঐ টেস্টে তিনি ১০১ রান করে এশিয়ায় জন্টি রোডসের ১০১* রানের পর চতুর্থ ইনিংসে এ রান তুলে সমকক্ষ হন।[১৬][১৭]
মার্চ, ২০১৯ সালে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা কর্তৃক ২০১৯-২০ মৌসুমের জন্যে ষোলজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তাকে চুক্তিতে নিয়ে আসা হয়।[১৮] ২০১৯-২০ মৌসুমে ভারত গমন করেন। রাঁচিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ডিন এলগারের আঘাতের কারণে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলার সুযোগ পান।[১৯]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ