ডার্ক পিয়েরট (বৈজ্ঞানিক নাম: Tarucus ananda (de Nicéville) 'লাইসিনিডি' গোত্রের এবং 'পলিয়োম্যাটিনি' উপগোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছোট আকার বিশিষ্ট প্রজাতি। ভারতএ এই প্রজাতির অধীনে কোন উপ-প্রজাতি তালিকাভুক্ত নেই। এই প্রজাতি ভারতের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন (Wild Life Protection Act, 1972) অনুসারে তফ্সিল ৪ এর তালিকার অন্তর্ভুক্ত।[১]
বিস্তার
এই প্রজাতি ভারত[২] এর মহারাষ্ট্র থেকে কেরলা, সিকিম থেকে অরুণাচল প্রদেশ[৩] পর্যন্ত এর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়।[৪]
বর্ণনা
প্রজাপতির দেহাংশের পরিচয় বিষদ জানার জন্য প্রজাপতির দেহ এবং ডানার অংশের নির্দেশিকা দেখুন:-
এই প্রজাতি তিলাইয়া এর সাথে সাদৃশ্যযুক্ত তবে তিলাইয়া এর মতন পিছনের ডানার নিম্নতলে ডিসকাল অংশ দাগ-ছোপহীন হয় না।
পুরুষ প্রকারের ডানার উপরিতল বেগুনি আভাযুক্ত কালচে বাদামী এবং ১মিলিমিটার চওড়া কাল বর্ডারযুক্ত। স্ত্রী প্রকারের ডানার উপরিতল কালচে বাদামি এবং কোন দাগ-ছোপ হীন। উভয় প্রকারে পিছনের ডানা ছোট লেজযুক্ত এবং উভয় ডানার সিলিয়া অথবা প্বার্শরোয়া সাদা।
ডানার নিম্নতল স্ত্রী-পুরুষের অনুরূপ। নিম্নতল ময়লাটে সাদা এবং কালচে-বাদামী দাগ-ছোপ বন্ধনী দ্বারা চিত্রিত। উভয় ডানার বেসাল অংশ জুড়ে তিলাইয়া এর অনুরূপ, সামান্য চওড়া কালো বন্ধনীন বর্তমান। উভয় ডানাতেই ৫ নং শিরামধ্যের কালচে বাদামী ডিসকাল ছোপটি সামান্য বাইরের দিকের কালচে বাদামী ডিসকাল বন্ধনীর সাথে সংযুক্ত। পোস্ট ডিসকাল এবং সাব টার্মিনাল অংশে মাঝারী আকৃতির ছোপের সারি বর্তমান উভয় ডানাতে। টর্নাল ছোপ এবং তার উপরের সাব-টার্মিনাল ছোপটি কেন্দ্রভাগে ধাতব নীলচে সবুজ আঁশ যুক্ত।[৫]
আচরণ
অন্যান্য Tarucus প্রজাতিদের থেকে খানিকটা ভিন্ন বাসস্থল এই ডার্ক পিয়েরট এর। এই প্রজাতি হিমালয়ের আর্দ্র, পার্বত্য জঙ্গল-পরিবেশে বাস করতে পছন্দ করে ও ৬৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত এদের সক্রিয় দেখা যায়। এদের উড়ান ভঙ্গিমা অন্যান্য Tarucus দের মতন হলেও, এরা অন্যান্যদের তুলনায় খানিকটা উপর দিয়ে ওড়ে। তৃনভূমি এবং ঝোপঝাড়ের উপর দিয়ে এদের উড়ে বেড়াতে লক্ষ্য করা যায়। স্বল্প দুইর্ঘ্যের উড়ান এর কারণে এরা ঘনঘন পাতা, ঘাস, ফুলে এদের বসে। এই প্রজাতি মাটি অথবা পাথরের ভিজে ছোপে বসে মাড-পাডল করে। দক্ষিন ভারতে সমতুল পরিবেশে ১৫০০মিটার উচ্চতা পর্যন্ত এদের দর্শন মেলে। সাধারনত মার্চ, এপ্রিল, জুলাই, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে এদের বিচরন চোখে পড়ে।
সাধারনত, Crematogaster গন এর পিঁপড়ে রাই এই প্রজাতির শূককীট এবং মূককীটদের দেখা শোনা করে।[৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ "Tarucus ananda (de Nicéville, [1884]) - Dark Pierrot"। Butterflies of India। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ Basu, D. N., Churi, P., Soman, A., Sengupta, A., Bhakare, M., Lokhande, S., ... & Kunte, K. (2019). The genus Tarucus Moore,[1881](Lepidoptera: Lycaenidae) in the Indian Subcontinent. Tropical Lepidoptera Research, 87-110.
- ↑ Harisha, M. N., Prakash, H., Hosetti, B. B., & Kumara, V. (2019). Diversity of butterflies of the Shettihalli Wildlife Sanctuary, Shivamogga District, Karnataka, India. Journal of Threatened Taxa, 11(10), 14349-14357.
- ↑ R.K., Varshney; Smetacek, Peter (২০১৫)। A Synoptic Catalogue of the Butterflies of India। New Delhi: Butterfly Research Centre, Bhimtal & Indinov Publishing, New Delhi। পৃষ্ঠা 134। আইএসবিএন 978-81-929826-4-9। ডিওআই:10.13140/RG.2.1.3966.2164।
- ↑ Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies (ইংরেজি ভাষায়) (1st সংস্করণ)। নতুন দিল্লি: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা 260। আইএসবিএন 978 019569620 2।
- ↑ Isaac, Kehimkar (২০১৬)। BHNS Field Guides Butterflies of India। Mumbai: Bombay Natural History Society। পৃষ্ঠা 250। আইএসবিএন 9789384678012।