ইংল্যান্ডের উপকূলে প্রণালিটি ডাঞ্জনেস (Dungeness) এবং দক্ষিণ ফোরল্যান্ড নামের দুইটি অন্তরীপ পর্যন্ত বিস্তৃত ধরা হয়। অন্যদিকে ফ্রান্সের উপকূলে এটিকে কালে (Calais) শহর থেকে কা গ্রি-নে (Cap Gris-Nez) পর্যন্ত বিস্তৃত বলে গণনা করা হয়।
সমুদ্রপ্রণালিটি ইংলিশ চ্যানেলের পূর্ব প্রান্তের সবচেয়ে সরু অংশটি গঠন করেছে। প্রণালির সবচেয়ে সরু অংশটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ফোরল্যান্ড এবং ফ্রান্সের কা গ্রি-নে-র মধ্যে অবস্থিত এবং প্রায় ৩৪ কিলোমিটার প্রশস্ত। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেবার জন্য সাঁতারুরা এই সরুতম পথটিই ব্যবহার করে থাকেন।[১]
প্রণালির দুই পাশে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড উভয় দিকের তীরই শ্বেত চুনাপাথরে তৈরি খাড়া পাহাড় নিয়ে গঠিত। দুই তীরের চুনাপাথরের স্তরগুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে প্রাগৈতিহাসিক কালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে স্থলযোগাযোগের একটি পথ এখান দিয়ে চলে গিয়েছিল।
ডোভার বা কালে প্রণালিটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত সমুদ্রপ্রণালি। এখানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ বাণিজ্যিক জাহাজ যাতায়াত করে।[২] ১৯শ শতকের শুরুর দিকেই প্রণালির নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে প্রণালির তলদেশ দিয়ে একটি রেলসুড়ঙ্গের খননকার্য আরম্ভ হয় এবং ১৯৯৪ সালে এটি "চ্যানেল টানেল" বা "চানেল" নামে পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
তথ্যসূত্র
↑"English Channel". The Cambridge Paperback Encyclopedia, 1999.