রয়েল সোসাইটি অব এডিনবার্গের ফেলোশিপ ডেভিড গিব (৩১শে অক্টোবর ১৮৮৩ - ২৮শে মার্চ ১৯৪৬) একজন স্কটিশ গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ। তিনি ক্যালকুলাস শাস্ত্রের সাংখ্যিক সমাকলন পরিভাষাটির প্রথম প্রয়োগ করেন।[১]
জীবন
ডেভিড গিব ১৮৮৩ খ্রীস্টাব্দে স্কটল্যান্ডের পূর্ব উপকূলীয় মেথল শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। লবণচাষী পিতা রবার্ট গিবের পরিবারে ডেভিড ছিলেন জৈষ্ঠ পুত্র; তাঁর মায়ের নাম জোয়ানা। প্রথম জীবনে তিনি অদূরবর্তী লীবেন পাবলিক স্কুলে ( ১৮৮৬ - ৯৬) এবং জর্জ ওয়াটসন্স কলেজে (১৮৯৬ - ৯৯) পড়াশোনা করেন। এই কলেজে ১৯৯০ সালের জুনে চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গণিত, জার্মান ও ইংরেজিতে উচ্চতর গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এছাড়াও একই বছরে অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রারম্ভিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উচ্চতর ল্যাটিনে পাশ করেন।
এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে তিনি গণিত ও প্রাকৃতিক দর্শন নিয়ে পড়েন। দ্বিতীয় বর্ষে ল্যাটিন নেন; এতে তিনি পরপর দুবার ফেল করলেও তৃতীয় বারে ল্যাটিনে উত্তীর্ণ হন। এখানে তিনি রসায়ন, লজিক ও মেটাফিজিক্স, অলঙ্কারশাস্ত্র ও ইংরেজি সাহিত্য, গতিবিদ্যা, তাপগতিবিদ্যা, পুরঃসর গতিবিদ্যা, স্থিরতড়িৎবিদ্যা নিয়েও পড়াশোনা করেন। ১৯০৬ সালে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক (BSc Pure) এবং গণিত ও প্রাকৃতিক দর্শনে স্নাতকোত্তর (M.A.) ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে থ্রি ওয়েস্ট প্রেস্টন স্ট্রীটের ফ্লকহার্ট নামক এক ভদ্রলোকের বাড়িতে লজিং থাকতেন। ১৯০৯ সালে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়েই গণিতের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে কিছুদিন তিনি একটি স্কুলে গণিত পড়িয়েছিলেন।[২]
গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদানের কারণে ডেভিড গিব ১৯১০ খ্রীস্টাব্দে রয়েল সোসাইটি অব এডিনবার্গের ফেলো নির্বাচিত হন। তাঁর প্রস্তাবকগণের মধ্যে ছিলেন জর্জ ক্রিস্টাল, স্যার ফ্রাংক ওয়াটসন ডাইসন, কার্গিল গিল্সটন নট এবং এলিস হর্সবার্গ।[৩]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তিনি রয়েল আর্সেনালের ব্যালিস্টিক ডিপার্টমেন্ট অর্ডন্যান্স কমিটিতে কাজ করেন। এখানে তিনি দূরে বসেই গ্যালিপলি উপদ্বীপের ন্যায় গুপ্ত বা অস্পষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে গোলা দাগার উপযোগী জটিল কোণ (অনুভূমিকের সাথে ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ কোণ) নির্ণয়ের হিসেবনিকেশ করতেন।[৪]
যুদ্ধের পর তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। ১৯২০ সাল থেকে তিনি এডিনবার্গ ম্যাথমেটিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হন[৫]
১৯৩৪ সালে গণিতের রিডার পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং ১৯৪৬ সালে মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকেন।[৬]
প্রকাশনা
- অ্যা কোর্স ইন ইন্টারপোলেশন অ্যান্ড নিউমেরিক ইন্টিগ্রেশন ফর দ্যা ম্যাথমেটিক্যাল ল্যাবরেটরি (১৯১৫)
তথ্যসূত্র