ডেভিড উইলিয়ামস
|
পূর্ণ নাম | ডেভিড ডিউইট উইলিয়ামস |
---|
জন্ম | (1963-11-04) ৪ নভেম্বর ১৯৬৩ (বয়স ৬১) পেনাল, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো |
---|
উচ্চতা | ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৬৩ মিটার) |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক |
---|
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, কোচ |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২০১) | ১৮ এপ্রিল ১৯৯২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
শেষ টেস্ট | ১২ মার্চ ১৯৯৮ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫২) | ৫ জানুয়ারি ১৯৮৮ বনাম ভারত |
---|
শেষ ওডিআই | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৭ বনাম ইংল্যান্ড |
---|
|
---|
|
বছর | দল |
১৯৮২ - ১৯৯৯ | ত্রিনিদাদ ও টোবাগো |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
ওডিআই |
এফসি |
এলএ |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
১১ |
৩৬ |
১২৪ |
১০৩ |
রানের সংখ্যা |
২৪২ |
১৪৭ |
৩,০৬৩ |
৭২০ |
ব্যাটিং গড় |
১৩.৪৪ |
৯.১৮ |
১৮.৭৯ |
১৪.৬৯ |
১০০/৫০ |
০/১ |
০/০ |
২/৮ |
০/১ |
সর্বোচ্চ রান |
৬৫ |
৩২* |
১১২ |
৫৩ |
বল করেছে |
০ |
০ |
৬০ |
২৪ |
উইকেট |
– |
– |
০ |
০ |
বোলিং গড় |
– |
– |
– |
– |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
– |
– |
০ |
০ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
– |
– |
০ |
০ |
সেরা বোলিং |
– |
– |
০/৪২ |
০/২০ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
৪০/২ |
৩৫/১০ |
২৮৬/৫০ |
৯১/৩৩ | |
|
---|
|
ডেভিড ডিউইট উইলিয়ামস (ইংরেজি: David Williams; জন্ম: ৪ নভেম্বর, ১৯৬৩) পেনাল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ত্রিনিদাদ ও টোবাগীয় কোচ এবং সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিক থেকে শুরু করে ১৯৯০-এর দশকের শেষদিক পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ডেভিড উইলিয়ামস।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮২-৮৩ মৌসুম থেকে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত ডেভিড উইলিয়ামসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বরাবরই তিনি জেফ ডুজনের পিছনে থাকতেন। মাত্র ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী খর্বাকায় ডেভিড উইলিয়ামস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জেফ ডুজনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে পারেননি। ডুজনের রান সংগ্রহের হার তার তুলনায় অধিক ছিল। যেখানে, ডুজনের টেস্ট ব্যাটিং গড় ছিল ৩১.৯৪ সেখানে তার ছিল মাত্র ১৩.৪৪। কেবলমাত্র একবারই পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন তিনি।
১৯৮৩ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এ পর্যায়ে ৭১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। ২২.৩১ গড়ে রান সংগ্রহের পাশাপাশি ১৫১টি ক্যাচ ও ৩৯টি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে স্বীয় নামকে যুক্ত করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ১১২ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি টেস্ট ও ছত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ডেভিড উইলিয়ামস। ১৮ এপ্রিল, ১৯৯২ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ মার্চ, ১৯৯৮ তারিখে একই মাঠে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আগমন করে। ত্রিনিদাদের কুইন্স পার্ক ওভালে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে তিন উইকেটে জয় এনে দিতে বিরাট ভূমিকা রাখেন। এ পর্যায়ে কার্ল হুপারের সাথে ১২৯ রানের জুটি গড়ে স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিক্রম করেন। তবে, ঐ ইনিংসের পর ধারাবাহিকভাবে তিনটি শূন্য রানের সন্ধান পান। অংশগ্রহণকৃত ১১ টেস্টের ১৮ ইনিংসের সাতটিতেই শূন্য রান করেছিলেন। অবশেষে ঐ সিরিজের চূড়ান্ত টেস্ট পর তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।
অবসর
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ২০০৩ সাল থেকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের কোচ হিসেবে জড়িত রয়েছেন। চার বছরের মধ্যে দুইটি একদিনের শিরোপা ও তিনটি চারদিনের প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের প্রথম আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতার পূর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সহকারী কোচ হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। তবে, মার্চ, ২০০৯ সালে বিস্ময়করভাবে খেলার মাঠে প্রবেশ করেন তিনি। বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টের চূড়ান্ত দিন অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।[১]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ