ডগলাস স্টুয়ার্ট (জন্ম ১৯৭৬) একজন স্কটিশ-মার্কিন লেখক ও ফ্যাশন ডিজাইনার। তার প্রথম উপন্যাস শুগি বেইন ২০২০ সালে বুকার পুরস্কার অর্জন করে। স্টুয়ার্ট জেমস কেলম্যানের পর বুকার পুরস্কার বিজয়ী দ্বিতীয় স্কটিশ লেখক।[১] বুকার পুরস্কার ছাড়াও উপন্যাসটি অ্যান্ড্রু কার্নেগি পদক, সেন্টার ফর ফিকশন ফার্স্ট নভেল পুরস্কার, কারকাস পুরস্কার ও ন্যাশনাল বুক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।
প্রারম্ভিক জীবন
স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর সাইটহিলে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। তার যখন খুব অল্প বয়স তখন তার পিতা তার পরিবার ছেড়ে চলে যান। তার মদ্যাসক্ত মাতা একাকী তাকে লালনপালন করেন।[৩] তার যখন ১৬ বছর বয়স তখন তার মাতা মদ্যপানের কারণে স্বাস্থ্যহানীতে মারা যান। তার প্রথম উপন্যাস শুগি বেইন মূলত তার নিজের ও তার মায়ের সংগ্রাম, এবং তার মায়ের সাথে তার সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত।[৪] মায়ের মৃত্যুর পর তিনি তার বড় ভাইয়ের নিকট বসবাস করেন এবং ১৭ বছর বয়সে একটি বোর্ডিং হাউজে চলে যান।
তিনি স্কটিশ কলেজ অব টেক্সটাইলস থেকে স্নাতক এবং লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব আর্ট থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] সাহিত্যে তার আনুষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। কলেজে যখন তিনি সাহিত্য নিয়ে অধ্যয়ন করতে চান, তার এক শিক্ষক তাকে নিরুৎসাহিত করেন। যার ফলে তিনি সাহিত্যের পরিবর্তে টেক্সটাইলস নিয়ে পড়াশোনা করেন।[৩]
কর্মজীবন
স্টুয়ার্ট ২৪ বছর বয়সে ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করতে নিউ ইয়র্ক সিটিতে পাড়ি জমান। তিনি বেশ কিছু নামকরা পণ্যের জন্য কাজ করেন, তন্মধ্যে রয়েছে ক্যালভিন ক্লেইন, রালফ লরেন, ব্যানানা রিপাবলিক ও জ্যাক স্পেড।[৩] স্টুয়ার্ট পোশাক নকশার পাশাপাশি তার লেখনীও চালিয়ে যান। তিনি ব্যানানা রিপাবলিকের সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে ১২ ঘণ্টার শিফটে কর্মরত অবস্থাতেই তার প্রথম উপন্যাস লেখা শুরু করেছিলেন।[৩]
তার প্রথম উপন্যাস শুগি বেইন ২০২০ সালে বুকার পুরস্কার অর্জন করে।[৫][৬] তিনি বুকার পুরস্কারের ৫১ বছরের ইতিহাসে এই পুরস্কার বিজয়ী দ্বিতীয় স্কটিশ সাহিত্যিক।[৭] তার আগে জেমস কেলম্যান ১৯৯৪ সালে হাউ লেট ইট ওয়াজ, হাউ লেট উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[৮] স্টুয়ার্ট এই বইটিকে তার জীবন পরিবর্তন করে দিয়েছিল বলে উল্লেখ করে থাকেন।[৯][১০][১১]