ট্যাকিয়ন (Tachyon) এক ধরনের কাল্পনিক (হাইপোথেটিক্যাল) কণা যার বেগ আলোর চেয়ে বেশি। যদিও অনেক পদার্থবিদ তা স্বীকার করেন না কারণ তা পদার্থবিদ্যাকেই অস্বীকার করে।[১] ট্যাকিয়নের প্রথম বর্ণনা দিয়েছিলেন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী আর্নল্ড সমারফেল্ড;[২] অবশ্য George Sudarshan, Olexa-Myron Bilaniuk, Vijay Deshpande এবং Gerald Feinberg-ই এ বিষয়ক গবেষণার তাত্ত্বিক কাঠামোটি তৈরি করেছিলেন। এ চারজন বিজ্ঞানীকেই ১৯৬০এর দশকে ট্যাকিয়ন নামকরণের কৃতিত্ব দেয়া হয়। অনেক আলোচনাতেই ট্যাকিয়নীয় ক্ষেত্রের অবতারণা করতে হয়, যেমন, বোসনীয় তন্তু তত্ত্ব। বিশেষ আপেক্ষিকতার ভাষায় ট্যাকিয়ন এমন এক কণা যার স্থান-সদৃশ চার-ভরবেগ এবং কাল্পনিক সঠিক সময় আছে। ট্যাকিয়ন শক্তি-ভরবেগ লেখের স্থান-সদৃশ অশটুকুতেই আবদ্ধ থাকে। তাই এর বেগ কোনভাবেই আলোর বেগের থেকে কম হতে পারে না, বেশি যত ইচ্ছা হতে পারে। ট্যাকিয়নের অস্তিত্ব যদি আসলেই থাকে, তারপরও তারা বিশেষ আপেক্ষিকতার মৌলিক নীতি মেনে চলবে, অর্থাৎ আলোর চেয়ে বেশি বেগে তথ্য সঞ্চালন করতে দেবে না। বর্তমানের অনেক বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে অবশ্য এর উল্টোটা লিখা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র
↑Tipler, Paul Allen, 1933- (২০০৮)। Modern physics। Llewellyn, Ralph A. (5th ed সংস্করণ)। New York, NY: W.H. Freeman। আইএসবিএন978-0-7167-7550-8। ওসিএলসি155682829।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (link) উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অতিরিক্ত লেখা (link)