ঝিনুক শিল্প হলো এমন একটি শিল্প যা সামুদ্রিক প্রাণি ঝিনুক নির্ভর এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুদীর্ঘকাল থেকে প্রতিষ্ঠিত।[১] যদিও বাংলাদেশের ৬৯,৯০০ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলরাশিতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ঝিনুক পাওয়া যায় তবু এদেশে এটি খুব বেশি প্রসারিত হয়নি; যেমনটি হয়েছে পার্শ্ববর্তী ভারত, চীন ও জাপানে - এরা বিশ্বের অন্যতম প্রধান ঝিনুক শিল্পোন্নত দেশ।[২]
শিল্প হিসাবে ঝিনুক
ঝিনুক বিভিন্ন ধরনের শিল্প হিসাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশে; যেমনঃ খাদ্য, রত্ন, সহায়ক, রসায়ন প্রভৃতি খাতে এটি ব্যবহৃত হয়।[১][২]
খাদ্য শিল্প
পঞ্চাশেরও অধিক প্রজাতির ঝিনুক ভক্ষণযোগ্য। সামুদ্রিক ঝিনুক (ওয়েস্টার) বেশ দামি খাবার এবং অনেক দেশে এর খামার রয়েছে; যেমনঃ ভারতে বাণিজ্যিকভাবে সামুদ্রিক ঝিনুক উৎপাদন করা হয়।[৩]
রত্ন শিল্প
হীরার পর সবচেয়ে দামী রত্ন বলে পরিচিত মুক্তার জন্ম হয় ঝিনুক হতে।[১] বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুদীর্ঘকাল থেকেই মুক্তা আহরণের জন্য ঝিনুক চাষ হয়; যেমনঃ চীনে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বছর আগে থেকে এর চাষ হয়ে আসছে।[৪]
সহায়ক শিল্প
পরিবেশের জন্য ঝিনুক খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এটি পানি থেকে শৈবাল, জৈব পদার্থ, দ্রবীভূত ক্ষতিকারক উপাদান দূরীকরণের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে পানিকে পরিষ্কার রেখে মাছ চাষে সহাযতা করে।[৩]