জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস এক ধরনের বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি যার মাধ্যমে বিশ্বের আবিষ্কৃত সকল জীবকে বিভিন্ন গোষ্ঠী বা শ্রেণীতে সাজানো হয়। বৈজ্ঞানিকভাবে এই পদ্ধতিই সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত। শ্রেণিবিন্যাসকে বৈজ্ঞানিক ট্যাক্সোনমির অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে তবে এটা অবশ্যই লোক-ট্যাক্সোনমি থেকে আলাদা। আধুনিক জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাসের জনক বলা হয় ক্যারোলাস লিনিয়াসকে। কারণ তিনিই প্রথম অভিন্ন ভৌত বৈশিষ্ট্যের আলোকে জীবের শ্রেণিবিভাগ করেছিলেন। এর পর থেকেই লিনিয়াসের করা শ্রেণিবিন্যাসকে বিভিন্নভাবে পরিমার্জিত ও সংশোধিত করা হচ্ছে যাতে এর সাথে ডারউইনের সাধারণ পূর্বপুরুষের তত্ত্বকে মেলানো যায়। অধুনা আণবিক ফাইলোজেনেটিক্স এর মাধ্যমে এই শ্রেণিবিন্যাসে অনেক ধরনের সংশোধন আনা হচ্ছে। এগুলো সূক্ষ্ণ ও নিখুঁত কারণ এক্ষেত্রে ডিএনএ তে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়াই ভবিষ্যতে ব্যবহৃত হতে থাকবে। জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস বায়োলজিক্যাল সিস্টেমেটিক্স এর একটি শাখা।বিচিত্র ধরনের জীবজগৎকে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে একসাথে ও বৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে পৃথক দলে স্থাপনের নীতিমালায় পৃথিবীর সমস্ত জীবকে ধাপে ধাপে বিন্যাস করার পদ্বতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।