জিন্দা পার্কবাংলাদেশেরনারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি বিনোদন পার্ক ও অবকাশ যাপন কেন্দ্র। পার্কটির আয়তন ১০০ বিঘা (৩৩ একর)।[১] পার্কটি নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি আকর্ষণস্থল।[২]
অবস্থান
জিন্দা পার্ক বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলাররূপগঞ্জ উপজেলায় দাউদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৭ কিমি দূরে নতুন স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচলের উত্তর-পূর্ব কোণে ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস সড়কঘেঁষে এই পার্কটি অবস্থিত। উত্তরে ও পূর্বদিকে একটি ছোট হ্রদ একে ঘিরে রেখেছে।
ইতিহাস
“অগ্রপথিক পল্লী সমিতি” ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৮১ সালে পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] পার্কটির আয়তন ১০০ বিঘা, যার মধ্যে ৬০ বিঘা জায়গা প্রদান করেন তবারক হোসাইন কুসুম। শুরুতে এর নাম শান্তিকানন দেওয়া হয়, পরে নাম পরিবর্তন করে জিন্দা পার্ক নামকরণ করা হয়।[১] শুরুতে একটি বিদ্যালয় এবং অফিস স্থাপনের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে পাঠাগার, স্বাস্থকেন্দ্র, মসজিদ ইত্যাদি গড়ে ওঠে।
১৯৯৫ সালে রাজউক তার পূর্বাচল প্রকল্পের জন্য জিন্দা পার্ক এলাকাটি অধিগ্রহণ করে।[১] তারপর বেশ কয়েকবার রাজউক ও গ্রামবাসীর মধ্যে দখলচেষ্টা ও প্রতিরোধের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আদলতেও নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত রাজউক ‘অধিগ্রহণবলে জমির মালিক রাজউক/প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও উন্নয়নে অগ্রপথিক কল্যাণ সমিতি’ লিখে একটি সাইনবোর্ড লাগায়।[১] ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ জিন্দা পার্ক থেকে লোকজনকে সরানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়।[৪] জিন্দা পার্কের নাম তখন “রাজউক জিন্দা পার্ক” রাখা হয়। একই বছর অগ্রপথিক পল্লী সমিতি আবার পার্কটি এলাকাটি অধিগ্রহণ করে ও নাম পরিবর্তন করে জিন্দা পার্ক রাখে।[৫]
বর্ণনা
জিন্দা পার্ক প্রায় ৩৩ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। এখানে প্রায় ২৫০ প্রজাতির প্রায় ২৫ হাজার গাছ রয়েছে। পাঁচটি জলাধার রয়েছে, যা মোট জায়গার ২৫ শতাংশ।[১] আছে বৃক্ষ-ঘর, টিলা, ফুলের বাগান এবং হ্রদের ওপর ব্রিজ। এছাড়া বিদ্যালয়, মসজিদ, পাঠাগার, কটেজ, অফিসসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা রয়েছে।[২][৩]