জায়েদ ইবনে সাবিত |
---|
|
জন্ম | আনুমানিক ৬১০ খ্রিষ্টাব্দ মক্কা |
---|
মৃত্যু | আনুমানিক ৬৬০ খ্রিষ্টাব্দ |
---|
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | ইসলাম |
---|
যার দ্বারা প্রভাবিত | মুহাম্মদ |
---|
জায়েদ ইবনে সাবিত (আরবি: زيد بن ثابت) ছিলেন একজন সাহাবি। তিনি ওহী লেখক সাহাবিদের অন্যতম।
জায়েদের ছয় বছর বয়সে তার বাবা বুয়াসের যুদ্ধে মারা যান। বদরের যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১৩ বছর। অল্প বয়স্ক হওয়ায় তার ইচ্ছা সত্ত্বেও তাকে এই যুদ্ধে নেয়া হয়নি। পরে তাকে বিভিন্ন চিঠিপত্র লেখা ও কুরআনের আয়াত নাজিল হওয়ার পর তা লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ও অন্য কয়েকজন সাহাবি কুরআন লিবিবদ্ধ করার দায়িত্বপালন করতেন।
মুহাম্মদ এর যুগ (৬১০-৬৩২)
মুহাম্মদ এর জীবদ্দশায় জায়েদ ইবনে সাবিত কুরআন লিপিবদ্ধ করতেন। কুরআনের কোনো অংশ অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি তা লিখে রাখতেন।
আবু বকরের যুগ (৬৩২-৬৩৪)
ইয়ামামার যুদ্ধে অনেক হাফেজ শহীদ হওয়ার পর কুরআন গ্রন্থাকারে সংকলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। উমর ইবনুল খাত্তাব এ বিষয়ে আবু বকরকে প্রস্তাব দেন। গ্রন্থাকারে কুরআনের প্রথা মুহাম্মদ এর সময় ছিল না বলে আবু বকর প্রথমে তাতে রাজি ছিলেন না। উমর তাকে রাজি করাতে সক্ষম হন এবং জায়েদ ইবনে সাবিতকে এই দায়িত্ব প্রদান করা। বিভিন্ন স্থানে লিখিত কুরআনের পান্ডুলিপিগুলোকে একত্রিতভাবে লিপিবদ্ধ করে জায়েদ এই দায়িত্ব সম্পন্ন করেন।
উসমানের যুগ (৬৪৪-৬৫৬)
উসমান ইবনে আফফানের খিলাফতকালে ইসলাম ব্যাপক অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এসময় কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার আঞ্চলিক আরবির ব্যবহার শুরু হয়। ইরাকে অবস্থানরত সাহাবি হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান এসময় উসমান ইবনে আফফানের কাছে এসে এই সমস্যার বিষয়ে অবহিত করেন।
আবু বকরের সময় সংকলিত কুরআনের কপি এসময় হাফসা বিনতে উমরের নিকট রক্ষিত ছিল। উসমান এই কপি থেকে আরো কপি তৈরির জন্য জায়েদ ইবনে সাবিত ও আরো কিছু সাহাবিকে দায়িত্ব দেন।[১] জায়েদকে তাদের প্রধান করা হয়।
জায়েদ ও অন্যান্যরা মিলে কুরআনের পাঁচ থেকে সাতটি কপি তৈরি করেন। এগুলো বিভিন্ন মুসলিম প্রদেশে পাঠানো হয় এবং সেসাথে কুরআনের আয়াত লেখা অন্যান্য সকল পান্ডুলিপিগুলো পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দেয়া হয়। আদেশ মোতাবেক মুসলিমরা এই কপিগুলো প্রামাণ্য হিসেবে নিয়ে পুরনো কপিগুলো পুড়িয়ে ফেলে। কুরআনের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল। উসমান একটি কপি নিজের কাছে রাখেন এবং আবু বকরের সময়ের মূল কপিটি হাফসা বিনতে উমরের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
বর্তমানে টিকে থাকা কিছু প্রাচীন কুরআনের কপিকে উসমানের সময়ের কুরআন বলে দাবি করা হয়। তবে বিষয়টি প্রমাণিত নয়।[২]
মৃত্যু
জায়েদ ইবনে সাবিত ৬৬০ সালে মারা যান।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ