জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ (পূর্বনাম: শরীয়তপুর সরকারি কলেজ) বাংলাদেশেরশরীয়তপুর জেলার একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শরীয়তপুর জেলা শহরের ধানুকা এলাকায় ধানুকা বাজারের পার্শ্বে অবস্থিত এই কলেজটি ৯ জুন ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১]
ইতিহাস
পদ্মা, মেঘনা আর কীর্তিনাশা বেষ্টিত শরীয়তপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রাতষ্ঠান শরীয়তপুর সরকারি কলেজ। শরীয়তপুর জেলার শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে এ শিক্ষাপ্রাতষ্ঠান অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে। ১৯৭৮ সালের ৯ জুন কলেজটি প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৮০ সালের ১ মার্চ জাতীয়করণ হয়। ১৯৯৮-১৯৯৯ শিক্ষাবর্ষে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে শরীয়তপুর জেলার উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হয়। বর্তমানে এই কলেজে ১১টি বিষয়ে অনার্স কোর্স ও ৪টি বিষয়ে মাস্টর্স কোর্স চালু রয়েছে।[২]
ক্যাম্পাস
ক্যাম্পাস ছোট হলেও বেশ সুন্দর এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
উপলব্ধ কোর্স
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ১১টি বিষয়ে, ও স্নাতকোত্তর (৪টি) বিষয়ে পাঠদান করে থাকে।[৩] এর উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় পাঠদান করা হয় ও শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী
মানবিক বিভাগ
বিজ্ঞান বিভাগ
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ
ব্যাচেলর ডিগ্রি (পাস) কোর্স
বিএ (পাস)
বিএসএস (পাস)
বিএসসি (পাস)
বিবিএস (পাস)
সিসি
ব্যাচেলর ডিগ্রি অনার্স কোর্স
বাংলা
ইতিহাস
ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
দর্শন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
অর্থনীতি
মার্কেটিং
অ্যাকাউন্টিং
ব্যবস্থাপনা
প্রাণীবিদ্যা
গণিত
মাস্টার্স ফাইনাল কোর্স
বাংলা
ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
ব্যবস্থাপনা
অবকাঠামো
একাডেমিক ভবন
বর্তমানে এই কলেজে ৫ টি একাডেমিক ভবন রয়েছে। এগুলোতে শ্রেণী পাঠ দান ছাড়াও প্রশাসনিক কাজ করা হয়। এছাড়াও কলেজে ২টি অডিটোরিয়াম ভবন রয়েছে।[৪]
লাইব্রেরী
কলেজের মূল একাডেমি ভবনের ২য় তলায় একটি লাইব্রেরী রয়েছে। বর্তমানে এই লাইব্রেরীতে ৫,০০০-এর বেশি বই রয়েছে।
হোস্টেল
কলেজের ২ টি হোস্টেল আছে। একটি ছেলেদের জন্য আর অন্যটি মেয়েদের জন্য।
ছেলেদের হোস্টেলঃ
শেখ রাসেল ছাত্রাবাস।
মেয়েদের হোস্টেলঃ
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রীনিবাস।
খেলার মাঠ
কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে কলেজের নিজস্ব খেলার মাঠ। এখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করা ছাড়াও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মসজিদ
কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে কলেজের নিজস্ব মসজিদ। এখানে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন নামাজ আদায় করে থাকে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
শরীয়তপুর সরকারি কলেজে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে:
প্রতি বছর এই কলেজে বাংলা নববর্ষ-এর অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ মর্যাদায় আয়োজন করা হয় এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডও এখানে দেখা যায়।