জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট প্রকৃতপক্ষে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের উচ্চ আদালত।১৯২৮ সালে জম্মু কাশ্মীরের মহারাজা কর্তৃক এক ঘোষণা অনুসারে বিশেষ অধিকারবলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে রাজধানীও পরিবর্তিত হয়। এ রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হল শ্রীনগর ও শীতকালীন রাজধানী হল জম্মু। তাই আদালতের স্থানও এই অনুসারে পরিবর্তিত হয়। আদালতটিতে মোট ১৭ জন অনুমোদিত বিচারক রয়েছেন যার মধ্যে ১৩ জন স্থায়ী বিচারক এবং ৪ জন অতিরিক্ত বিচারক।[৩][৪]
ইতিহাস
১৯২৮ সালের ২রা মার্চ জম্মু কাশ্মীরের মহারাজার জারিকৃত আদেশ নং -১ এর ভিত্তিতে জম্মু ও কাশ্মীরের উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি লালা কানওয়ার সাঁইকে প্রথম প্রধান বিচারপতি এবং লালা বোধ রাজ সওহনি এবং খান সাহেব আগা সৈয়দ হোসেনকে নিম্নপদস্থ বিচারক নিযুক্ত করেছিলেন।[৫] উচ্চ আদালতের আসনগুলি তখন জম্মু ও শ্রীনগরে ছিল। ১৯৪৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মহারাজা আদালতটিকে বিশেষ অধিকার প্রদান করেছিলেন। খান সাহেব আগা সৈয়দ হোসেন[৬] উচ্চ আদালতটির প্রথম মুসলিম বিচারক ছিলেন। মহারাজার শাসনামলেই তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের মূখ্যমন্ত্রী ও বিচারমন্ত্রীর পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।[৭] ২০১৮ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চআদালতে প্রথম এবং দ্বিতীয় মহিলা বিচারক যোগদান করেন। সিন্ধু শর্মা জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে যোগদান করেন এবং বিচারপতি গীতা মিত্তাল প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতীয় সংসদের উচ্চ ও নিম্ন উভয় কক্ষে একটি পুনর্গঠন বিল পাস হয়। বিলে বিদ্যমান বিধিসমূহে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এদের একটি হলো জম্মু ও কাশ্মীর (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) এবং অপরটি হলো লাদাখ। বিলটি ৩১শে অক্টোবর,২০১৯ থেকে কার্যকর হয়। পূর্বে প্রতিষ্ঠিত জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতটি বর্তমানে উভয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেরই উচ্চ আদালত হিসেবে বিচারকার্য পরিচালনা করছে।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি
বিচারপতি গীতা মিত্তাল ১১ই আগস্ট ২০১৮ ইং তারিখে জম্মু ও কাশ্মীর উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।[৮]
প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের তালিকা
#
|
Chief Justice
|
Term
|
১
|
কনওয়ার সাঁই
|
২৭ এপ্রিল ১৯২৮ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১
|
২
|
বীর্জর দালাল
|
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১ - ২৪ নভেম্বর ১৯৩৬
|
৩
|
আব্দুল কাইয়ুম
|
২৪ নভেম্বর ১৯৩৬ - ২০ জুলাই ১৯৪০
|
৪
|
রাছপাল সিং
|
১৩ আগস্ট ১৯৪০ - ৬ মার্চ ১৯৪২
|
৫
|
গঙ্গানাথ
|
২৪ জুন ১৯৪২ - ২৩ অক্টোবর ১৯৪৫
|
৬
|
এস. কে. ঘোষ
|
২৯ মার্চ ১৯৪৬ - ২৯ মার্চ ১৯৪৮
|
৭
|
জানকী নাথ ওয়াজির
|
৩০ মার্চ ১৯৪৮ - ২ ডিসেম্বর ১৯৬৭
|
৮
|
সৈয়দ মুর্তজা ফজল আলী
|
৩ ডিসেম্বর ১৯৬৭ - ১ এপ্রিল ১৯৭৫
|
৯
|
রাজা জশবন্ত সিং
|
২ এপ্রিল ১৯৭৫ - ২৩ জানুয়ারি ১৯৭৬
|
১০
|
এম. আর. এ. আনসারি
|
২৩ জানুয়ারি ১৯৭৬ - ৮ নভেম্বর ১৯৭৭
|
১১
|
মিয়াঁ জালাল উদ্দিন
|
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ - ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০
|
১২
|
মুফতি বাহা উদ্দিন
|
৭ মার্চ ১৯৮৩ - ২৩ আগস্ট ১৯৮৩
|
১৩
|
ভাযহাক্কুলাঙ্গারাইল খালিদ
|
২৪ আগস্ট ১৯৮৩ - ২৪ জুন ১৯৮৪
|
১৪
|
আদর্শ সেন আনন্দ
|
১১ মে ১৯৮৫ - ২৩ অক্টোবর ১৯৮৯
|
১৫
|
এস. এস. কাং
|
২৪ অক্টোবর ১৯৮৯ - ১৪ মে ১৯৯৩
|
১৬
|
এস. সি. মথুর
|
১০ অক্টোবর ১৯৯৩ - ১৭ মার্চ ১৯৯৪
|
১৭
|
এস. সগীর আহমদ
|
১৮ মার্চ ১৯৯৪ - ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪
|
১৮
|
এম. রামকৃষ্ণ
|
১০ অক্টোবর ১৯৯৪ - ১৫ জুন ১৯৯৭
|
১৯
|
ভবানী সিং
|
১৬ জুন ১৯৯৭ - ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০০
|
২০
|
বি. পি. শরফ
|
২১ ফেব্রুয়ারি ২০০০ - ২২ আগস্ট ২০০১
|
২১
|
এইচ. কে. সেমা
|
১২ সেপ্টেম্বর ২০০১ - ৮ এপ্রিল ২০০২
|
২২
|
বি. সি. প্যাটেল
|
১৬ মে ২০০২ - ৪ মার্চ ২০০৩
|
২৩
|
এস. এন. ঝা
|
৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ - ১১ অক্টোবর ২০০৫
|
২৪
|
বি. এ. খান
|
২৫ জানুয়ারি ২০০৭ - ৩১ মার্চ ২০০৭
|
২৫
|
আফতাব আলম
|
৭ জুন ২০০৭ - ১০ নভেম্বর ২০০৭
|
২৬
|
কে. এস. রাধাকৃষ্ণান
|
৭ জানুয়ারি ২০০৮ - ২৮ আগস্ট ২০০৮
|
২৭
|
মনমোহন সারিন
|
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ - ১৯ অক্টোবর ২০০৮
|
২৮
|
বারীন ঘোষ
|
৩ জানুয়ারি ২০০৯-১৩ এপ্রিল ২০১০
|
২৯
|
ড. আফতাব হোসেন সাইকিয়া
|
১৩ এপ্রিল ২০১০ - ৬ এপ্রিল ২০১১
|
৩০
|
এফ. এম. ইবরাহিম কাইফুল্লাহ
|
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১ - ২ এপ্রিল ২০১২
|
৩১
|
এম. এম. কুমার
|
৮ জুন ২০১২ - ৪ জানুয়ারি ২০১৫
|
৩২
|
এন. পাল. ভাষানঠাকুর
|
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ - ১৪ মার্চ ২০১৭
|
৩৩
|
বদর দারেজ আহমদ
|
১ এপ্রিল ২০১৭ - ১৫ মার্চ ২০১৮
|
৩৪
|
রামালিংগাম সুধাকর
|
১৬ মার্চ ২০১৮ -১১ মে ২০১৮
|
৩৫
|
অলোক আরাধে (অস্থায়ী)
|
১১ মে ২০১৮ -১১ আগস্ট ২০১৮
|
৩৬
|
গীতা মিত্তাল
|
১১ আগস্ট ২০১৮ - বর্তমান
|
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
বহিঃসংযোগ