চার্লি লক
|
পূর্ণ নাম | অ্যালেন চার্লস ইনগ্রাম লক |
---|
জন্ম | (1962-09-10) ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৬২ (বয়স ৬২) মারান্দেলাস, ম্যাশোনাল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম |
---|
ভূমিকা | বোলার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৮) | ১৩ অক্টোবর ১৯৯৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা |
---|
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৩) | ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৬ বনাম নিউজিল্যান্ড |
---|
শেষ ওডিআই | ৬ মার্চ ১৯৯৬ বনাম ভারত |
---|
|
---|
|
প্রতিযোগিতা |
টেস্ট |
ওডিআই |
এফসি |
এলএ |
---|
ম্যাচ সংখ্যা |
১ |
৮ |
১১ |
১০ |
রানের সংখ্যা |
৮ |
৮ |
৭৪ |
৮ |
ব্যাটিং গড় |
৮.০০ |
৮.০০ |
৯.২৫ |
৮.০০ |
১০০/৫০ |
০/০ |
০/০ |
০/০ |
০/০ |
সর্বোচ্চ রান |
৮* |
৫ |
১৬ |
৫ |
বল করেছে |
১৮০ |
২৮৯ |
৫৭৫ |
৪০৯ |
উইকেট |
৫ |
৮ |
৩২ |
৯ |
বোলিং গড় |
২১.০০ |
২৭.৩৭ |
২৪.৯৬ |
৩০.১১ |
ইনিংসে ৫ উইকেট |
০ |
১ |
১ |
১ |
ম্যাচে ১০ উইকেট |
০ |
০ |
০ |
০ |
সেরা বোলিং |
৩/৬৮ |
৫/৪৪ |
৬/৫৯ |
৫/৪৪ |
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং |
০/– |
১/– |
৫/– |
১/– | |
|
---|
|
অ্যালেন চার্লস ইনগ্রাম লক (ইংরেজি: Charlie Lock; জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২) ম্যাশোনাল্যান্ডের মারান্দেলাস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন চার্লি লক।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত চার্লি লকের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি পেস বোলার হিসেবে মূলতঃ সিম ও সুইংয়ের উপর নির্ভর করে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ৩৩ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে একটি স্বর্ণালী মৌসুম অতিবাহিত করেন। তারপর হঠাৎ আলোর ঝলকানির ন্যায় আবির্ভূত হয়ে পর্দার অন্তরালে চলে যান।
কাজের সন্ধানে ইংল্যান্ড গমন করেন। ছয় বছর ইংল্যান্ডের ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়ে ১৯৯৫ সালে জিম্বাবুয়েতে প্রত্যাবর্তন করেন। রুজাউইর সাথে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করেন। ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টসের সদস্যরূপে দুইবার ছয় উইকেট দখল করায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দলে প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও আটটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লি লক।[১] ১৩ অক্টোবর, ১৯৯৫ তারিখে হারারেতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
একমাত্র টেস্টে তিনি পাঁচ উইকেট লাভ করেছিলেন। এর এক সপ্তাহ পূর্বে অনুশীলনীমূলক খেলায় আঙ্গুল ভেঙে ফেলেন। তাসত্ত্বেও বোলিং করে এ সাফল্য পান। প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৮ রান তুলে অমূল্য অবদান রাখেন। হিথ স্ট্রিকের সাথে জুটি গড়েন। দুইটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান তুলেন। তার ভাষায়, হাতে আঘাত পাবার ভয়ের চেয়েও এ রানগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।
এ আঘাতের কারণে তিন মাস ক্রিকেট খেলার বাইরে থাকেন। নিউজিল্যান্ড গমনসহ বিশ্বকাপে খেলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোন টেস্ট খেলার সুযোগ না পেলেও তিনটি ওডিআই নিয়ে গড়া সিরিজের শেষ দুইটিতে অংশ নেন। নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওডিআইয়ে ১১ বলে ৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট পান। এরফলে, জিম্বাবুয়ে দল ২১ রানের নাটকীয় জয় তুলে নেয়।
১৯৯৬ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের সবকটি খেলায় অংশ নেন। আবারও আঘাতের কবলে পড়েন। এরপর তাকে আর জাতীয় দলে নেয়া হয়নি।
ব্যক্তিগত জীবন
২০০৭ সালের অক্টোবর মাসের শুরুতে বৈশ্বিক গণমাধ্যমে চার্লি লক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। জিম্বাবুয়ের বাদ-বাকী স্বল্প কয়েকশত শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের অন্যতম তিনি। দক্ষিণ পূর্ব হারারের ৯০ মাইল (১৪০ কিমি) দূরে হেডল্যান্ডস জেলায় তার জমি রয়েছে। এরপূর্বে সরকারকে পুণঃআবাসনে ৫,০০০-একর (২০ কিমি২) অধিক জমি প্রদান করেন। ২০০৩ সালে জমির ক্ষুদ্র অংশে অবস্থানের জন্যে অনুমতিপত্র পান। বাদ-বাকী জমির ক্ষতিপূরণবাবদ আদালতের দ্বারস্থ হন।[২]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ