চার্লি অ্যাবসলম
১৮৮৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে চার্লি অ্যাবসলম |
|
পূর্ণ নাম | চার্লস আলফ্রেড অ্যাবসলম |
---|
জন্ম | (১৮৪৬-০৬-০৭)৭ জুন ১৮৪৬ ব্ল্যাকহিদ, কেন্ট, ইংল্যান্ড |
---|
মৃত্যু | ৩০ জুলাই ১৮৮৯(1889-07-30) (বয়স ৪৩) পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ |
---|
ডাকনাম | কেমব্রিজ ন্যাভি |
---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি |
---|
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম |
---|
ভূমিকা | বোলার |
---|
|
জাতীয় দল | |
---|
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১২) | ২ জানুয়ারি ১৮৭৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া |
---|
|
---|
|
বছর | দল |
১৮৬৬ - ১৮৬৯ | কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
---|
১৮৬৮ - ১৮৭৯ | কেন্ট |
---|
|
---|
|
|
|
---|
|
চার্লস আলফ্রেড অ্যাবসলম (ইংরেজি: Charlie Absolom; জন্ম: ৭ জুন, ১৮৪৬ - মৃত্যু: ৩০ জুলাই, ১৮৮৯) কেন্টের ব্ল্যাকহিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৭৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ‘কেমব্রিজ নেভি’ ডাকনামে পরিচিত চার্লি অ্যাবসলম।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
কেন্টের ব্ল্যাকহিদ এলাকায় এডওয়ার্ড অ্যাবসলমের সন্তানরূপে চার্লি অ্যাবসলম জন্মগ্রহণ করেন। উইল্টশায়ারের ক্যান এলাকার বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৭০ সালে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপূর্বে ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক্সে ব্লুধারী হন।[১][২] বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ১৮ খেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন। এ পর্যায়ে শতাধিক উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে, ১৮৬৬ থেকে ১৭৬৯ সময়কালে প্রত্যেক বছরই বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় অংশগ্রহণ ছিল তার।[৩] এছাড়াও, জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
১৮৬৬ সাল থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত চার্লি অ্যাবসলমের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এ সময়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার পাশাপাশি কেন্ট দলে খেলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। এরপর ১৮৬৮ থেকে কেন্টের পক্ষে খেলতে শুরু করেন।[৪] ‘কেমব্রিজ নেভি’ ডাকনামে আখ্যায়িত হয়েছিলেন। বিপুল শরীর ও শক্তিমত্তার কারণে এ নামে পরিচিতি পান।[৫] ১৮৬৮ সালে কেমব্রিজের সদস্যরূপে খেলায় অংশ নিয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে বাঁধা দেয়ার কারণে আউট ঘোষিত হন। এ সময় তিনি সপ্তম রান সংগ্রহের দিকে ধাবিত হয়েছিলেন।[৩] আকর্ষণীয় শারীরিক গড়নের অধিকারী চার্লি অ্যাবসলম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে চারটি খেলায় অংশ নিয়ে ২৫ উইকেট দখল করেছিলেন। কেমব্রিজ থেকে চলে আসার পর ইনার টেম্পলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি তার আইনশাস্ত্র বিষয় শেষ করতে পারেননি।[১]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লি অ্যাবসলম। ২ জানুয়ারি, ১৮৭৯ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।
১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন মেরিলেবোন ক্রিকেট দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ঐ সফরে তিনি তার একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। নিজ কাউন্টি দলীয় অধিনায়ক হ্যারিস তাকে খেলার জন্যে মনোনীত করেন। এ পর্যায়ে তার বয়স ছিল ৩২ বছর। তা সত্ত্বেও ব্যাট হাতে বেশ ভালো করেন। তবে, বল হাতে তেমন সুবিধে করতে পারেননি।[২]
অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেড স্পফোর্থের হ্যাট্রিক লাভের পর ইংল্যান্ড দলের সংগ্রহ ২৬/৭-এ নিয়ে আসলে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। অষ্টম উইকেটে হ্যারিসের সাথে যোগ দিয়ে ৬৩ রান যুক্ত করেন। নিজে করেন ৫২ রানের অর্ধ-শতরানের সন্ধান পান।[৩][৬] স্লো-মিডিয়াম বোলার হিসেবে সুন্দর রেকর্ড থাকা স্বত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে তাকে বোলিং করার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে স্পফোর্থের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ঐ টেস্টে তার দল ১০ উইকেটে পরাভূত হয়েছিল।
এরপর তিনি আর কোন টেস্টে অংশ নেননি। ১৮৭৯ মৌসুম শেষে কেন্ট দল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ৫৭টি কাউন্টি খেলায় অংশ নিয়ে ৮৭ উইকেট পেয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
১৮৮০ সালে ইংল্যান্ড ছেড়ে ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন। তার বাদ-বাকী দিনগুলো সম্বন্ধে খুব কমই জানা যায়। আমেরিকাসে সময় কাটান। এসএস অরিনোকো ও এসএস মারিয়েল জাহাজের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।[১][২] ৩০ জুলাই, ১৮৮৯ তারিখে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে কার্গোর সাথে জাহাজের সংঘর্ষে ৪৩ বছর বয়সে জীবনাবসান ঘটে।[২][৬]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ